আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ইসির বৈঠক চলছে

পৌরসভা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অব অফিসার, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবি ও কোস্টগার্ড, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

বৈঠকে অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাস্তানদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ প্রভাব বিস্তারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ নির্দেশনা দিবে ইসি।

এছাড়া ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া এবং ভোটের আগের দিন বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা থাকবে।

প্রভাবমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বহিরাগতদের অবস্থান ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। যেদিন ভোট হবে সেদিন অন্য এলাকার প্রভাবশালীরা থাকলে বা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে কমিশন সূত্রে জানা যায়।

জানা গেছে, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রভেদে ১৯ থেকে ২০ জন ফোর্স মোতায়েন করা হবে। পৌরসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে তিন হাজার ৫শ ৮৫টি। কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, এপিবিএন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ভোটার এলাকায় ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সবমিলিয়ে ৭০ হাজারের বেশি ফোর্স থাকছে এ নির্বাচনে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে ১৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে মোট ৯২৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।



মন্তব্য চালু নেই