অনন্য উচ্চতার পথে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক

গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে সফরে আসছেন শি জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনের সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমীর দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক ইয়ে হেলিন সেদেশের জাতীয় দৈনিক পিপলস ডেইলিকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত বাংলাদেশ সিল্ক রোড অর্থনৈতিক বেল্ট এবং একুশ শতকের সামুদ্রিক সিল্ক রোড (যা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণে চীনের প্রস্তাব দেয়ার আগে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

ইয়ে হেলিন বলেন, বঙ্গোপসাগরের কাছে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি উন্নয়ন অঞ্চলই নয়; বরং দক্ষিণ এশিয়া সিল্ক রোড স্থাপন করা হলে অন্যতম স্টপেজও হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের অন্যতম শীর্ষ অংশীদার হতে পারে ঢাকা।

প্রতিবেশিদের সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক থাকলেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ; আর এটি ৪১ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অব্যাহত রয়েছে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চ্যাই ঝি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সম্পদের অভাবের সময় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে চীনের কাছে থেকে ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পেয়েছে। তিনি বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চীন বাংলাদেশের কাছে সব সময় সহায়তার হাত এগিয়ে দিয়েছে। চীন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সাতটি ব্রিজ তৈরি করেছে এবং অষ্টম ব্রিজ নির্মাণাধীন রয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরে ২৫টির বেশি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই