মাতাল কাঠবেড়ালির কাণ্ড!

বরাবরের মত সেদিন রাতেও আটটার দিকে উর্স্টারশায়ার মেম্বারস ক্লাবের তালা খুলেছেন ম্যানেজার স্যাম বাউটলার। দরজা খুলে তো থ। একী অবস্থা তার পানশালার। যেন রাতে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে গেছে ক্লাবের ওপর দিয়ে।

বিয়ারের পিপের কল খোলা। বিয়ারে সয়লাব গোটা মেঝে। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভাঙা কাচের গ্লাস আর পানীয়ের বোতল। ক্ষতি অন্তত ৩০০ পাউন্ড। প্রথমে ভেবেছিলেন, পানশালায় ডাকাত পড়েছিল। কিন্তু তা কি করে সম্ভব, দরজা–জানলা তো সবই বন্ধ। তারপর যা দেখলেন তাতে রাগ টাগ সব উধাও। হাসি আর থামাতে পারেন না স্যাম। কারণ, পানশালার টেবিলের নিচ থেকে টলতে টলতে যিনি বেরুচ্ছেন তিনি কোনো দু পেয়ে জীব নন, চার পেয়ে, মানে এক কাঠবিড়ালি!

আগের দিন সকলের চোখ এড়িয়ে কীভাবে যেন ক্লাবে ঢুকে পড়েছিল কাঠবেড়ালিটি। গভীর রাতে সবাই বেরোলেও থেকে গিয়েছিল সে। পরে কোনো এক সময় খুলে ফেলে বিয়ারের পিপের ছিপি। ফোয়ারা দেখে আর সামলাতে পারেনি নিজেকে। চুক চুক করে খেয়ে নেয় বেশ কয়েক ঢোক। এরপর আর কি, শুরু করে মাতলামি! সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে এক শেষে। এক রত্তি ওই মাতালকে বাগে আনতে কম বেগ পেতে হয়নি স্যামকে। দু জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পর থাবাবন্দি করেন পুচকোটাকে। এরপর ছুঁড়ে ফেলেন রাস্তায়।



মন্তব্য চালু নেই