পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭
কক্সবাজার: চকরিয়া উপজেলায় একটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত সাতজন। ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে যুবলীগকর্মীরা। এসময় ভাঙচুর করা হয় অন্তত ১০টি যানবাহন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে সাত পর্যন্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চকরিয়া পৌর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
পুলিশ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, যুবলীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে চকরিয়া পৌর এলাকার একটি দোকান স্থাপনের খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই সময় দোকানটি উচ্ছেদ করে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে যুবলীগের একদল কর্মী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে এক কনস্টেবলের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন- চকরিয়া থানার এসআই কামরুল আজম, সাংবাদিক জাহেদ চৌধুরী, পথচারী বাহাদুর, আরিফ এবং যুবলীগ নেতা খলিল। তাদের চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর। ওখানে এ দুই কর্মকর্তাকে আটকে রেখে জুতা নিক্ষেপ শুরু করে যুবলীগ কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান চকরিয়ায় দায়িত্বরত জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ আলম।
এসময় যুবলীগ কর্মীরা চকরিয়া থানার এসআই রুহুল আমিন ও এএসআই ফারুককে মারধর শুরু করে। এতে পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ কর্মীদের আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ আবারো কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৮ টার দিকে চকরিয়া ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুবলীগ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে ১০ টি যানবাহন ভাঙচুর করে ও সড়ক অবরোধ করে রাখে। রাত ৯ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই