ব্যাংকের কোটি টাকা আত্মসাৎ,কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজশাহীর তানোর শাখার সোনালী ব্যাংক থেকে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা নাজির হোসেনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নগরীর ব্যাংক কলোনি এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে ও সোনালী ব্যাংকের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা নাজির হোসেন সোহেল (৩৫), তার স্ত্রী ছালমা জাহান লিমা (২৮) ও দড়িখড়বোনা এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মাসুদ হাসান (৩৬)।
বুধবার সকালে রাজশাহী র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানায়, নাজির হোসেন ছিলেন সোনালী ব্যাংকের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা। তিনি ২০১১ সাল থেকে স্ত্রী ও বাবার নামে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরাতে থাকেন। গত জুন মাসে ব্যাংক থেকে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর থেকে নাজির হোসেন আত্মগোপনে চলে যান।
গত ২৪ জুন ব্যাংকটির তানোর শাখার ম্যানেজার এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা করেন। এই মামলার পর র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আইটি কর্মকর্তা সোহেল র্যাবকে জানান, সোনালী ব্যাংক তানোর শাখার অভ্যন্তরীণ হিসেব থেকে লভ্যাংশের মোট এক কোটি ১৮ হাজার টাকা সরিয়েছেন তিনি। তবে ওই টাকা তিনি একাই নেননি। এর মধ্যে ১৫ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংক রাজশাহীর শাখার মহাব্যবস্থাপককে, ১০ লাখ টাকা উপ-মহাব্যবস্থাপককে, তিনটি অডিট দলকে পাঁচ লাখ এবং ওই শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান মোহাম্মদ খালিদুলকেও কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন।
সোহেল জানান, তানোর শাখায় হিসাব নম্বর খুলে টাকা সরিয়ে নেন তিনি। এরপর পর্যায়ক্রমে তার স্ত্রী ও বাবার হিসাব নম্বরের মাধ্যমে তা উত্তোলন করেন। পরে ওই টাকা দিয়ে মাসুদের সহযোগিতায় নাচোলে প্রায় ৩শ’ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ধানসহ ফলের বাগান গড়ে তুলেন সোহেল। এছাড়া দুটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাসও কিনেছেন তিনি।
র্যাবের এএসপি রেজিনুর জানান, মামলার পর থেকে সোহেলকে অপহরন করে তার বন্ধু মাসুদ গোপন করে রাখেন। কারণ তিনি জানতেন সোহেল গ্রেপ্তার হলে মাসুদও এই মামলায় ফেঁসে যাবেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হবে।
মন্তব্য চালু নেই