চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় বিলবোর্ড অপসারণ
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের দুই হাজার ৬২৫ বর্গফুটের বিশাল একটি বিলবোর্ড অপসারণ করেছে সিটি করপোরেশন। এটি নগরীর সবচেয়ে বড় বিলবোর্ডও। এর আগে অবৈধ বিলবোর্ডটি একাধিকবার অপসারণের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর জিইসি মোড়ের বিলবোর্ডটি অপসারণ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
বিলবোর্ডটির মালিক ছিলেন নগর যুবলীগের আহবায়ক ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যাডভেলীর মালিক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও অ্যাড ফ্রেমের মালিক আরশেদুল আলম বাচ্চু ও অ্যাডওয়ে পাবলিসিটির মালিক জুবের আলম শাহীন।
এসময় বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিকদের পক্ষে আইনজীবীরা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের কাছে বিলবোর্ডটি উচ্ছেদে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। কিন্তু করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন বিলবোর্ডটি অবৈধ।
প্রসঙ্গত জিইসি মোড়ে ৬০০ বর্গফুটের তিনটি বিলবোর্ড, ১৫০ বর্গফুটের দুইটি ও ৫২৫ বর্গফুটের একটি বিলবোর্ডের অনুমতি নেয় তিনটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যাডভেলী, অ্যাড ফ্রেম ও অ্যাডওয়ে পাবলিসিটি। কিন্তু ছয়টি বিলবোর্ডকে যুক্ত করে দুই হাজার ৬২৫ বর্গফুটের একটি বিশাল বিলবোর্ড স্থাপন করে তারা। নীতিমালা অনুযায়ী একই স্থানে পাশাপাশি সাইনবোর্ড স্থাপনার ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ ফুট জায়গা উন্মুক্ত রাখতে হবে। এছাড়া ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৪০ ফুটের বেশি বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে না।
মহিউদ্দিন বাচ্চুর আইনজীবী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন,‘বিলবোর্ডটি উচ্ছেদে ২৭ জুলাই পর্যন্ত আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব কাগজপত্র উপস্থাপনের পরও করপোরেশনের কর্মকর্তারা বিলবোর্ডটি উচ্ছেদ করেছে।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলম বলেন,‘ বিলবোর্ডটি অপসারণে কোন বাধা ছিল না। নগরীতে ৮০০ বর্গফুটের বড় বিলবোর্ড কোন অবস্থায় স্থাপন করার সুযোগ নেই। তাই বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয়েছে।’
এদিকে বিলবোর্ডটি অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে যান- সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলম, সচিব রশিদ আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমুদুল হক, আইন কর্মকর্তা সরওয়ার ই আলম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এয়াকুব নবী।
এছাড়া দুপুরে ঘটনাস্থলে যান- নগর পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান।
মন্তব্য চালু নেই