কর্মক্ষেত্রের ৯টি বিদঘুটে নিয়ম
সব অফিসে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। কিছু কর্মক্ষেত্রে নিয়মগুলো বেশ সহনীয় হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে তা পাগলামীর নামান্তর বলে বিবেচিত হতে পারে। এখানে দেখে নিন এমনই ৯টি নিয়মের নমুনা।
১. ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আনা এমনই নিয়মের একটি। এই প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি কাজেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে। পর্নগ্রাফি বা এমন কিছু উপাদান বাদ দিতে পারে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে সীমা বেধে দেওয়া উচিত নয়।
২. অফিসে পৌঁছানো, অফিস ত্যাগ করা এবং ছুটির ক্ষেত্রে অদ্ভুত নিয়ম-কানুনের ব্যবহার সত্যিই হাস্যকর। পাঁচ মিনিট বিলম্ব হলে তার হিসেব কষে ছুটির দিন ওই সময় পূরণ করে নেওয়া ইত্যাদি বিদঘুটে নিয়ম।
৩. ইমেইলে কোনো সীমারেখা টেনে দেওয়া উচিত নয়। অনেক অফিসে প্রচুর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে ইমেইল পাঠানো যায় না। এটি সত্যিই অদ্ভুত।
৪. বাথরুমে যাওয়ার সময়টা পর্যন্ত যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়, তাহলে এটা পাগলামী।
৫. যারা অফিসের কাজে এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করেন, তাদের ভ্রমণের খরচে ব্যাপক লাগাম টানা সত্যিই বাজে বিষয়।
৬. রাজনৈতিক বিষয়ে কর্মীদের মতামত প্রদানে নিয়ম-কানুন ধরিয়ে দেওয়া স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। সবাই জানেন, কোথায় ক্ষান্ত দিতে হবে। কিন্তু তারপরও এই নিয়ম অর্থহীন হয়ে থাকে।
৭. পূর্ব পরিকল্পিত কোনো পদ্ধতিতে খাপ খাইয়ে নিতে যদি কর্মীদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে হিতে বিপরীত হয়। এই অদ্ভুত নিয়মে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না কেউ।
৮. এই যুগে স্মার্টফোনের ব্যবহার রোধ করার কথা কেউ চিন্তাই করতে পারেন না। কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম বেঁধে দিয়ে সত্যিই দারুণ বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে।
৯. অফিসে কর্মীদের মাঝে ড্রেসকোড সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকে। বিশেষ সময়ে ড্রেসকোডের বিষয়ে কড়াকড়িও আরোপ করা যায়। কিন্তু সেখানে ইউনিফর্ম ধরিয়ে দেওয়া যায় না। আবার কর্মীরা একটির বেশি খাবারের বাক্স আনতে পারবেন না বা পানি বোতল এক লিটারের বেশি হবে না ইত্যাদি অদ্ভুত নিয়ম চালু করার কোনো অর্থ হয় না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
মন্তব্য চালু নেই