লণ্ডভণ্ড টাইগারদের ড্রেসিংরুম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করার জন্য বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসেছিলেন শ’খানেক মানুষ। বলা চলে হুলুস্থল এক কাণ্ড।
শ্যুটিংয়ের শেষ পর্যায়ে একটি শট বাকি ছিল। যেখানে দেখা যাবে, টাইগারদের ড্রেসিংরুম থেকে ব্যাট হাতে বের হয়ে আসবেন সাকিব আল হাসান। শটটি নিতে বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিটপি’র শ্যুটিং ইউনিট কাজের জন্য ড্রেসিংরুমের কাছে গেলেও বিসিবি’র নিরাপত্তা বিভাগের গাফিলতিতে ইউনিটের বাইরের লোকজনও ঢুঁকে পড়ে ড্রেসিংরুমে।
সাধারণ জনতা এমনকি সাংবাদিকদের জন্যও নিষিদ্ধ এই ড্রেসিংরুম। তবে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে আক্ষরিক অর্থেই ড্রেসিংরুম লণ্ডভণ্ড করে ফেলেন প্রায় জনা বিশেক লোকজন। ড্রেসিংরুমে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে-বসে-শুয়ে পড়ে কিছু লোক। কেউবা টাইগার ক্রিকেটারদের ব্যাট-প্যাড ধরে টানাটানি শুরু করে। কেউ আবার সোফার উপর পা তুলে নোংরা করেছে মাশরাফি-মুশফিকদের প্রিয় এই জায়গাটি।
মিরপুরে এমন চিত্র দেখে হতাশ হয়েছেন মাঠে আসা ক্রীড়া সাংবাদিকরা। এক সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষেও দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়েন। এটা নিয়ন্ত্রণে রাখা বিসিবি’র দায়িত্ব। কিন্তু তাদের সিকিউরিটি বিভাগ সেটা করতে পারছে না। এসব গাফিলতির ধারাবাহিকতায় আজকের অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। যা কারোরই কাম্য নয়।’ পরবর্তীতে এ অবস্থার চিত্র ধারণ ও ছবি তুলতে গেলে বচসা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরাম্যান ও ফটো সাংবাদিকদের সঙ্গে।
বিজ্ঞাপনের জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শুটিং ইউনিটের থাকার শর্ত থাকলেও দুপুর দেড়টায়ও শেষ হচ্ছিল না তাদের কাজ। এদিকে ততক্ষণে মাঠের অনুশীলনে নেমে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুপক্ষের উত্তেজনায় ভড়কে যান প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। পরে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞাপন শ্যুটিং এর জন্য হাজির হন- সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
মন্তব্য চালু নেই