শ্রীনিবাসন, যার নিজের নামেই একাধিক দূর্নীতির মামলা তিনি কিভাবে ক্রিকেটের দূর্নীতি দূর করবেন?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট খেলাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা খেলাটিতে সততা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।
বারবাডোসে আইসিসি’র বার্ষিক সম্মেলনে নেয়া দুর্নীতি-বিরোধী এসব পদক্ষেপের ফলে সারা বিশ্বে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মকাণ্ডে তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার পথ প্রসারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকের পর আইসিসি’র পক্ষে থেকে যে ঘোষণা দেয়া হয়, তাতে বলা হয়েছে যে ক্রিকেট খেলাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে একটি সমন্বিত চেষ্টা হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো ক্রিকেট কলুষমুক্ত রাখা বা ‘কীপ ক্রিকেট ক্লিন’।
বারবাডোসের বৈঠকে বলা হয়েছে, আইসিসি’র দুর্নীতি-বিরোধী ইউনিট বা এসিইউ সব ধরণের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডে আরো বেশী ভূমিকা পালন করবে এবং এর তদন্তের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এছাড়া, এসিইউ এবং সদস্য দেশগুলোর দেশীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার মধ্যে আরো বেশী সমন্বয়ের ব্যবস্থা করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আইসিসি’র সব সদস্য এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এমন সব সহযোগী সদস্য দেশ ঘরোয়া ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে রক্ষা করতে নিজস্ব দুর্নীতি-বিরোধী সক্ষমতা পর্যালোচনা করে দেখবে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক একটি প্যানেল গঠন করা হবে, যেখান থেকে আইসিসি ও সদস্য দেশগুলো দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনালের জন্যে সদস্য নিতে পারবে।
আইসিসি’র চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন বলছেন, এসব পদক্ষেপ ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করতে তাদের আন্তরিক চেষ্টা ও প্রতিশ্রুতিকে প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, এ সব সুপারিশের বাস্তবায়ন ক্রিকেটে দুর্নীতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে, কিন্ত একই সাথে আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং জিরো-টলারেন্স নীতি চালিয়ে যেতে হবে। বিবিসি বাংলা
মন্তব্য চালু নেই