আ’লীগ নেতা নিঁখোজের ৩দিন পেরিয়ে গেলেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ

বেনাপোলের পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মহাতাব নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। এ দিকে তার সাথে থাকা ব্যবসায়িক পার্টনার মন্টুর রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের সদস্যরা।

গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে বেনাপোলের আওয়ামীলীগ নেতা মাহাতাব উদ্দিনকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে সাদা পোষোকে ডিবি পরিচয় দিয়ে কিছু লোকজন অপহরন করে নিয়ে যায় । অপহরনের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বা কোন রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

নিখোঁজ মহাতাবের ভাতিজা মামুন জানায় গত শনিবার রাতে মহতাব ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার মন্টু এক সাথে ঢাকায় যায় সেখানে ২ জন এক সাথে থেকে আবার মঙ্গলবার রাতে সোহাগ পরিবহনের একটি গাড়ীতে করে ৯.১৫ মিনিট সময়ে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওয়না দেয়। পতিমধ্যে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌছালে মন্টু নীচে নামে তার সে উঠে আসলে মহাতাব নীচে নামে এর পর গাড়ি ফেরিতে উঠার সময় মহাতাবকে গাড়ীর গেটের কাছ থেকে সাদা পোষাকধারী কিছু লোক ডিবি পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গাড়ীর সুপারভাইজার,হেলপার ও ড্রাইভার বাধা দিলে সে বাধা অতিক্রম করে তার মহাতাবকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় অহরনের কথা গাড়ীর লোকজন মন্টুকে জানালেও মন্টু কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। কিন্তু মন্টু তার পরিবারের সাথে বলে সে গাড়ীতে ঘুমিয়ে ছিলো। মামুন আরও জানায় অপহরনের পরপরই মন্টুর ব্যবহৃত মোইল ফোনটি বন্ধ থাকে, বাড়ীতে খবর না দিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে যায়। সেখানে সে বেনাপোলের ২ যুবলীগ নেতা ওহিদ,বকুল ছাড়াও কয়েকজন গুলশানের একটি বাসায় অবস্থান করে। বেনাপোলের আওয়ামীলীগ নেতা ইবাদত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মন্টু ও মহাতাব ব্যবসায়িক পার্টনার। তাছাড়া ইবাদত হত্যা মামলাটি র‌্যাবে স্থানান্তর হওয়ার পর তারা দু জনই ছিলো উদ্বিগ্ন, কোন গোমর ফাঁস হতে পারে, বা ব্যসায়ায়িক টাকা পয়সার হিসাব নিকাশ মন্টুর কাছে থাকে এ কারনেও তার ঈগিতে অপহরন হতে পারে বলে পরিবারের অনেক সদস্যের ধারনা। তাদের সাফ কথা মন্টুকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করলে অপহরনের গুড় রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।

এদিকে নিখোঁজ মাহাতাব এর কলেজ পড়–য়া মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিমা বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘটিকার সময় বেনাপোল পদ্মা ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে একটি সিএন্ডএফ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন তার বাবাকে মঙ্গলবার রাত ৯.১৫ মিনিটের সময় ঢাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে বেনাপোল আসার উদ্দেশ্য রওনা হয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে নেমে টয়লেটে যাওয়ার সময় কিছু দুর্বত্তরা তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। তাকে না নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের হেলপার ড্রাইভার বাধা দিলে সে বাধা অতিক্রম করে তাকে নিয়ে যায় ডিবি পরিচয়ে কিছু সাদা পোশাকের লোকজন। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় একটি সাধারন ডাযেরী হয়েছে যার নং ৯১৩ তারিখ ২৪.০৬.১৫। সংবাদ সম্মেলনে সে তার বাবাকে উদ্ধারের ব্যাপারে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল সংস্থা ও সংবাদকর্মিদের প্রতি সহযোগিতার ব্যাপারে আহব্বান জানান। উল্লেখ্য উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে বের করে দেয়া হয়।এ নিয়েও রহস্যের ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।



মন্তব্য চালু নেই