মরা গাছের টেন্ডার নিয়ে জীবিত গাছ কেটে সাবাড়
ফুলবাড়ীতে মরা গাছের টেন্ডার নিয়ে জীবিত গাছ কেটে সাবাড় করছিলেন এক ঠিকাদার। এ ঘটনায় সাকিল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে জীবিত কেটে ফেলা গাছগুলো উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
শনিবার বিকেলে ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী আঞ্চলিক সড়কে নির্বিচারে জীবিত গাছ কাটার এ ঘটনা ঘটে। আটক সাকিল মিয়া লালমনিরহাট সদরের পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা।
কেটে ফেলা গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ছয়টি বড় সাইজের ইউক্যালিপটাস, চারটি রেইনট্রি, কড়াই ও দুটি কাঁঠাল গাছ।
জেলা পরিষদের টেন্ডারে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারের নাম আলহাজ মনসুর আলী। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের নাজিরার আবুল হোসেনের ছেলে।
সূত্রমতে, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের টেন্ডারে অংশ নিয়ে ঠিকাদার আলহাজ মনসুর আলী নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের বিভিন্ন জাতের মরা ১৭০টি গাছ কাটার কার্যাদেশ পান। গত ২০ মে গাছ কাটা শুরু করেন ঠিকাদারের লোকজন। এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে ফুলবাড়ী- নাগেশ্বরী সড়কের মরা চিহ্নিত গাছ বাদে জীবিত প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে। এর মধ্যে রয়েছে বড় সাইজের ইউক্যালিপটাস, চারটি রেইনট্রি, কড়াই ও দুটি কাঁঠাল গাছ।
খবর পেয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশিদ জীবিত কেটে ফেলা গাছগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে সাকিল মিয়া নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান, অবৈধভাবে কেটে ফেলা জীবিতগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউএনও নাসির উদ্দিন মাহমুদ জানান, গাছগুলো উদ্ধার ও একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই