এ কেমন ভয়ঙ্কর রাস্তা যে পা ফসকালেই নিশ্চিত মৃত্যু! (দেখুন ছবি সহ)
মানুষের চলাফেরা ও জীবন যাত্রাকে একটু বেশি সহজ ও উন্নত করার জন্যই মূলত রাস্তা তৈরি করা হয়। রাস্তা নগরের সাথে গ্রামের, শহরের সাথে নগরের, এমনকি দেশের সাথে দেশেরও মেলবন্ধন ঘটায়। যে পথ দিয়ে মানুষ জানা বা অজানা স্থানে পাড়ি জমায় সে পথ ধরেই মানুষ আবার ঘরে ফেরে। রাস্তা বা পথ মানুষের বড় আপন। কিন্তু সেই রাস্তাই যদি হয় মৃত্যু ফাঁদ! রাস্তাই কখনো কখনো এতোটা ভয়ঙ্কর যে পা ফসকালেই নিশ্চিত মৃত্যু!
‘এল কামিনিটো দেল রে’ (El Caminito del Rey ) বা ‘কিংস লিটল পথ’ (King’s Little Path)- কে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাস্তা হিসাবে গণ্য করা হয়। এটি দক্ষিণ স্পেনের মালাজা প্রদেশের আলোরা গ্রামের এল কোরো আলোরা পাহাড়ের শরীরে অবস্থিত।
১৯০১ সালে এই রাস্তাটি নির্মান কাজ শুরু হয় স্থানীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় উপকরণ পরিবহনের জন্য। এই রাস্তা দিয়েই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় মেটারিয়ালও স্থারান্তরিত হতো। ১৯০৫ সালে স্প্যানিশ রাজা ‘ত্রয়োদশ আলফোন্সো’ এই হাঁটা পথ পাড়ি দেন এবং এর পড়ে তার অভিষেক হয় তাই একে ‘কিংস পথ’ বলেও অভিহিত করা হয়।
১৯৯৯ সালে রাস্তটির ক্ষয়ক্ষতি ও বিভিন্ন কার্বনে এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এ বছর থেকে প্রশাসনিক ভাবে এটাকে উম্মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আগের ফুটপাথে রাস্তার পাশে ধরার মতো কোনো কিছু ছিল না। কিন্তু প্রকৌশলীরা বর্তমান রাস্তায় চিকন লোহার দড়ির ব্যবস্থা করেছেন, যা ধরে যেকেউ সহজেই পাড়ি দিতে পারবেন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর এই পথটি।
এই রাস্তায় হাঁটতে গেলে যেমন চাই দুর্দান্ত সাহস, তেমনি চাই মানসিক শক্তি। যাদের হৃদযন্ত্র অল্পতেই দুর্বল হয়ে যায় তাদের জন্য এই রাস্তা নয়। সম্প্রতি প্রকৌশলীরা রাস্তাটির একাংশের সংস্কার কাজ শেষ করেছেন।
আগে শুধুমাত্র বিশেষায়িত কিছু প্রকৌশলিই এই পথটি ব্যবহার করতে পারতেন। পাহাড়ের নামে রাস্তাটির নামকরণ হলেও, বর্তমানে রাস্তাটির নামেই পাহাড়টিকে মানুষ চেনে। এ রাস্তায় প্রতিমুহূর্তে অপেক্ষা করে মৃত্যুঝুঁকি।
সূত্র: এমেইজিং প্ল্যানেট।
মন্তব্য চালু নেই