নিয়ন্ত্রণের বেড়াজালে পথহারা গণতন্ত্র : ড. মঈন খান

সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে একের পর এক নিয়ন্ত্রণের বেড়াজালে আবদ্ধ করায় গণতন্ত্র আজ পথহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ভূমিহীন দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যাত্রা কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, ‘সরকার নতুন আইন করে সংবাদপত্রের ওপর যেভাবে হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে তাতে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রের অস্তিত্বই ওঠে যাবে। কারণ গণতন্ত্রের মন্ত্রই হল- পেটে ভাত না থাকলেও কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে।’

দেশ-বিদেশে সবজায়গায় ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যাত্রা কোন পথে?’ এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা না থাকলে ক্ষুধার কথা মানুষ বলবে কি করে? বাংলাদেশের মানুষ এ সমস্যাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পেরেছে বলেই সর্বত্র এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

এ অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, ‘১৯৪৮ সালে কার্জন হলে উর্দূকে ‘না’ বলার মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে যা আজও অব্যহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা দিয়ে এদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখা যায়নি, যাবেও না।’

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জাতির জন্য সবচেয়ে লজ্জার হলো যখন দখলদার প্রধানমন্ত্রীকে এ দেশের সেনাপ্রধান স্যালুট করে।’

ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীরা বলছেন তালপট্টি দ্বীপের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ থেকেই বোঝা যায় গণতন্ত্র কোন পথে চলছে।’

তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দুদু বলেন, ‘সাহস থাকলে আপনি পুলিশ প্রটোকল ছাড়া গুলিস্তানে আসুন, শরীরের কাপড়সহ বাড়ি ফিরতে পারলে আপনাকে স্যালুট করব।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যে কথাই বলুন না কেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জিয়া হত্যার বিচার হবেই।’

সংগঠনের সভাপতি এমএ তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সাবেক সাংসদ রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই