বাদামের কিছু অমুল্য গুনাগুন

বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায় বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই। বাদামে প্রচুর আঁশ, পুষ্টিকর উপাদান ও হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ১০ গ্রাম করে বাদাম গ্রহণ করলে মৃত্যুর জন্য দায়ী কয়েকটি বড় ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নিচে বাদামের পুষ্টিগুণ দেওয়া হলো :
চিনাবাদাম
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সি।
উপকারিতা
* প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
* নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আখরোট
ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।
উপকারিতা
* হাড় শক্ত করে।
* ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।
পেস্তা বাদাম
ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।
উপকারিতা
* রক্ত শুদ্ধ করে।
* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
কাজু বাদাম
আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ভিটামিন-এ।
উপকারিতা
* অ্যানিমিয়া ভালো করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আমন্ড
বাদামের রাজা আমন্ড। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই।
উপকারিতা
* শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
* নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।
* কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।
* আমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
* আমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মন্তব্য চালু নেই