দেশে ফিরেছেন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকায় ফেরেন বলে জানিয়েছেন সালাহ উদ্দিনের ভাই গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
গিয়াস উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌছান হাসিনা।
এদিকে শায়রুল কবির জানান, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা এবং পারিবারিক কাজে তিনি দেশে এসেছেন।সেগুলো শেষ করে শিগগিরই তিনি আবার ভারতে যাবেন।
সালাহ উদ্দিন-হাসিনা দম্পত্তির চার ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডায় ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করছেন। ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা দেশেই থাকেন। রাইদা স্কলাস্টিকা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী, আর ইউসূফ একটি কলেজে পড়ছেন।
সালাহ উদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর ছোট দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। এখন তারা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। এখন তাদের পরীক্ষার সময়। সন্তানদের পড়াশোনা তদারকির জন্য দেশে ফিরেছেন হাসিনা।
এছাড়া সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় দায়ের করা অভিযোগ, আদালতে রিটসহ অন্যান্য আইনি কাগজপত্র সংগ্রহ করবেন। ভারতের মেঘালয়ের শিলং আদালতে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার কাজে এ সব নথিপত্র প্রয়োজন।
ওই সূত্র জানায়, নানা ধকল কাটিয়ে আপাতত মানসিকভাবে চাঙ্গা মেঘালয়ের শিলংয়ে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। শিলং শহরের ক্যান্টনমেন্টের পাশে একটি ছোট্ট ডুপ্লেক্স কটেজ ভাড়া নিয়েছেন তিনি। সেখানেই নীরব সময় কাটাচ্ছেন। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করছেন। তিনটি বেডরুম, ড্রইং ও লিভিং রুমের ওই বাসায় স্ত্রী ও ভাতিজা সাফওয়ানকে নিয়ে থাকছেন সালাহ উদ্দিন। এখন স্ত্রী দেশে থাকায় তার দেখভাল করছেন ভাতিজা।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর গত ১১ই মে ভারতের শিলংয়ে উদ্ধার হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। পরে নানা প্রক্রিয়া শেষে নেগ্রিমস হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ২৭শে মে আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ৫ই মে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান বিএনপির এই নেতা।
মন্তব্য চালু নেই