‘মা দিদিকে হিংসে করে, বাথরুমে নগ্ন করে দেয়’ (ভিডিও)
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণির রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কালকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আটক পার্থ দে’র ডায়েরিতে বিভিন্ন লেখা দেখে এমনই অনুমান করছেন তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডায়েরিতে লেখা রয়েছে- আমার দিদি বড় হচ্ছে। সে তার জোর খাটাচ্ছিল। মা তাকে ঈর্ষা করছিল। আমরা দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। মা দিদিকে বাথরুমে নগ্ন করে দেয়। আমার বোন ধীরে ধীরে আকর্ষণীয়, আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠছে। সে এখন স্বাধীনচেতা।
আগামীকাল শনিবার ডায়েরির লেখাগুলো দেখিয়ে পার্থ দে’কে জেরা করবেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার শেক্সপিয়র সরণির ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু চিঠিপত্র। পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চিঠি আদান-প্রদান করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেসব চিঠিতে যেমন হতাশার কথা লেখা আছে, তেমনই হতাশা কাটাতে আশ্বাসবাণীও আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রবিনসন স্ট্রিটের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি কঙ্কালের ডিএনএ এবং রেডিওলজি টেস্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, পার্থ দে’র বাবা অরবিন্দ দে’র ময়নাতদন্তের পরও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও তিনি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। পার্থর বোন দেবযানীর মৃত্যুর কারণ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। উপবাসের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন প্রমাণও মেলেনি।
দেবযানীর কঙ্কালের বয়স ৪ থেকে ৬ মাস। ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে, অরবিন্দ দে’র দুটি রোগ ছিল: লিভার সিরোসিস ও যক্ষ্মা।
দে পরিবারের কাগজওয়ালা থেকে শুরু করে অরবিন্দ দে’র ভাই অরুণ দে’র ভাড়াটিয়া প্রত্যেকের কথাতেই অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তৈরি হয়েছে নানা সন্দেহ, সংশয়। এ কারণে শুক্রবার তদন্তকারীরা নতুন করে তল্লাশি চালাতে রবিনসন স্ট্রিটের ওই ফ্ল্যাটে যান।
গত বুধবার রাতে রবিনসন স্ট্রিটের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ অরবিন্দ দে’র দগ্ধ দেহ। তার ছেলে পার্থকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, কয়েকমাস আগে বৃদ্ধের মেয়ে দেবযানীর মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে তাদের দুটি পোষা কুকুরও। সৎকার না করে দেহগুলো ফ্ল্যাটেই রেখে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশকে জানান পার্থ। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই