ঘাটাইল উপজেলায় সরকারী গম ক্রয়ে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সরকারী নীতিমালা তোয়াক্কা না করে গম ক্রয়ে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরিদ্র কৃষকদের পুঁজি করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্যে নেমেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ ও সরকারী গম ক্রয় কমিটি। কৃষকরা সরকার নির্ধারিত গমের দাম না পেয়ে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে গম না কিনে কিছু অসাধু ব্যবাসায়ীর মাধ্যমে অন্য জেলা থেকে গম আমদানি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অফিস ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় চলতি বৎসরে সরকার ঘাটাইল উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২৮/- টাকা কেজি দরে গম কেনার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে না কিনে দলীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০/- টাকা দরে গম ক্রয় করে গুদাম ভর্তি করেছে। যদিও ২৯ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম কেনার কথা থাকলেও আগে আসলে আগে পাবেন এই পদ্ধতি অবলম্বন না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই খাদ্য কর্মকর্তা, গুদাম কর্মকর্তা, দলীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ২০/- টাকা দরে দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলা হতে লোকেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচটিকড়ী গ্রামের ব্যবসায়ী নিরঞ্জনের মাধ্যমে গম কেনা শেষ করেছে।
কৃষি অফিসার নূরে আলম সিদ্দিকী জানায় ঘাটাইল উপজেলায় চলতি বৎসরে ৩২০ মেঃ টনঃ গম উৎপাদন হয়েছে। সে অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরকারের গম কেনার চাহিদা ছিল ৮৪ মেঃ টন। কৃষক যদি সরাসরি গুদামে গম বিক্রি করতে পারত তাহলে ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেশি পেত। এতে প্রকৃত কৃষকরা তাদের গমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আঃ রাজ্জাক আমাদের উপজেলা সংবাদদাতাকে জানান, গম ক্রয়ের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- এখানে কোন প্রকার দুর্নীতি করা হয় নাই। সব কিছু ক্রয় কমিটির নির্দেশে করা হয়েছে। গম ক্রয়ের ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন উপজেলার উদাহারন টেনে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যান। কৃষকদের কাছ থেকে গম ক্রয়ের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ক্রয় কমিটির সভাপতি আছমা আরা বেগমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমি জানি না তবে তদন্ত করে দুর্নীতির সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই