বেরোবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ৬ হাসপাতালে ভর্তি ১

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)শাখা ছাত্রলীগ ও কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে এবং ১ জনকে তৎক্ষণাৎ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

সংঘর্ষের জের ধরে পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।এ সময় পার্কের মোড় সংলগ্ন দোকানদারগুলো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে।পরে পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার সার্থে পার্কের মোড় সংলগ্ন পুরো জায়গা নিমিষেই ফাঁকা করে দেয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কারমাইকেল কলেজ শাখা এবং রংপুর জেলা ছত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন গ্রুপের অনুসারী ছত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষের পূর্বে প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী এই দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব মন্ডল,তিতাস চন্দ্র রায়,সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছ। তবে এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব মন্ডলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ দাবী করেন বিশবিদ্যালয় শাখার সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের ইন্ধনে এই হামলা করা হয়েছে।

অন্যদিকে কারমাইকেল কলেজ শাখা এবং রংপুর জেলা ছত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন বলেন,দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই অনাকাংকিত ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টায় করতেছি।

এ ব্যাপারে রংপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল কাদের জিলানী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন,পূর্বের মতবিরোধের জের ধরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও পরবর্তীতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনে।বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোঃ শাহীনুর রহমান জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই