ঝড়ে পড়েছে আম, তোলার নেই নাম!
রাজশাহী : ফলের রাজা আম। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হলেও আমের রাজধানী বলা হয় রাজশাহীকেই। আর রাজশাহীর আমের সুখ্যাতি দেশজুড়ে। মধুর মত মিষ্টি স্বাদ, গন্ধ ও আকারে সারা দেশের আমের চেয়ে রাজশাহীর আমই সেরা।
মওসুমি এ ফলের নাম-যশ রাজশাহীর ইতিহাস-ঐতিহ্যে মিশে আছে। ‘আম’ দেখলে অনেকের মনে রাজশাহীর নামই ভেসে ওঠে। ঐতিহ্যের স্বারক হিসেবে তাই নগরের প্রবেশ মুখ নওদাপাড়ায় স্থাপন করা হয় ‘আম চত্বর’। এখন আম চত্বর আছে, কিন্তু সেই চত্বরের আম গুলো আগের মত নাই।
সে আমগুলো ঝড়ে পড়েছে। রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলতি মওসুমের প্রথম কালবৈশাখী বয়ে যায় গত ৪ এপ্রিল। প্রথম কালবৈশাখীতেই লন্ড ভন্ড হয়ে যায় রাজশাহী। সেই দিনের ঝড়ে নগরের নওদাপাড়া আম চত্বরের তিনটি জট বাঁধা আমও পেস্নটের ওপর কাত হয়ে পড়ে যায়। এর পর দেড় মাসেরও বেশি সময় চলে গেছে। কিন্তু ঝড়ে পড়ে যাওয়া সৌন্দর্য বর্ধনকারী আমগুলো এখনও আগের অবস্থায় আছে, সেগুলো তোলা হয় নি।
এ কয়েক দিনের অযত্নে অবহেলায় সবুজ ও হলুদ রঙের ইট-সিমেন্টের আমগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত এর পরিচর্যায় কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনটি আম দিয়ে তৈরী করা ভাস্কর্যটির এমন অবস্থা নওদাপাড়া গোলচত্বরের মোহময় অপরূপ সৌন্দর্যকে একেবারেই মস্নান করে দিয়েছে।
রাজশাহী শহরে ঢুকতেই চার রাস্তার মোড়ে আমের এ হাল দেখে পবার নওহাটা এলাকার এনামুল ইসলাম বলেন, ‘আমের এই ভাস্কর্যটি দেখলেই বুঝি শহরে প্রবেশ করছি। আর যারা জেলার বাইরে থেকে আসেন তারা রাজশাহীতে আসার বিষয়টি অনুভব করেন। কিন’ যাত্রাপথে শ্রীভ্রষ্ট আমগুলো দেখে মনে মনে আফসোস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে। এর আগে ২০০৪ সালে গ্রামীণফোনের উদ্যোগে রাজশাহী শহরের বাইপাস সড়কের নওদাপাড়া গোলচত্বরে তিনটি আমের ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। পরে নগর সৌন্দর্য বর্ধনের আওতায় রাসিক সেখানে ফুলগাছ লাগায় এবং রঙের কাজও করে দেয়।
মন্তব্য চালু নেই