“অযৌক্তিক এই পরিবহন ধর্মঘট” বললেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার

অন্যায়ের কাছে মাথানত করে অপরাধীকে সুযোগ করে দেওয়ার করে কোন মানেই হয় না। এতে অপরাধীরা আরো অপরাধে উৎসাহী হবে আর প্রশাসনের একজন হয়ে আমি সেটা করতে পারি না। সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ধর্মঘট আহবানকারীদের দাবী অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে ডাকাতির ঘটনার সাথে সোহাগ পরিবহনের ষ্টাফরা জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমান রয়েছে বলে তিনি জানান। আর যাদের বিরুদ্ধে প্রমান থাকবে অভিযোগ থাকবে আমরা কি তাদের গ্রেফতার করবো না?

গত মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের মধুখালীতে বাস ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহাগ পরিবহনের ড্রাইভার, হেলপারকে আটকের প্রতিবাদে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলোতে অনিদ্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ জামিল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ধৃর কন্ঠে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জানান অযৌক্তিক এই পরিবহন ধর্মঘট ছাড়া অন্য কিছুই নয়। শুক্রবার বিকাল ৬টায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন তিনি।

তিনি জানান, আমাদের অভিযোগে নয় ডাকাতি সংগঠিত হওয়া সোহাগ পরিবহনের যাত্রীদের অভিযোগের ভিক্তিতে ড্রাইভার এবং হেলপারকে আটক করা হয়েছে। তাকে জড়িয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, বাস যাত্রীদের সকলেই ডাকাতির ঘটনার সাথে ড্রাইভার-হেলপাড় জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য সেই সময় ভিডিওতে ধারন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জামিল হাসান প্রশ্ন রেখে বলেন, একটি আর্ন্তজাতিক ট্রিপে যাচাই বাছাই না করে কেন টিকিট দেয়া হয়েছিল। কেনইবা বাসস্ট্যান্ড থেকে না উঠিয়ে আশুলিয়া থেকে ৭জন যাত্রীকে বাসে উঠানো হলো। তাকে সহ মধুখালী থানার ওসিকে প্রত্যাহার না করলে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না বাস মালিক শ্রমিক নেতাদের এমন আল্টিমেটামের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলাও হয়েছে। আইন আইনের গতিতে চলছে চলবে।

এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র কোন ছাড় দেয়া হবেনা কাউকে। জামিল হাসান আরো বলেন, ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে-এটা এখন আমার কোন বিষয় নয় আদালতের বিষয়। তিনি বলেন, ডাকাতির বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বিষয় এটা দমন না করলে আরো সংগঠিত হতে থাকবে। এ ঘটনাটির সাথে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি অচিরেই ডাকাতির হোতাদের আটক করতে আমরা সক্ষম হবো। সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি সুনিল কুমারসহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের মধুখালীতে বোনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়। পরে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাস ড্রাইভার, হেলপারকে আটক করে। শ্রমিক আটকের প্রতিবাদে এবং তিনদফা দাবীতে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় অনিদ্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে যা এখনো বিদ্যমান।



মন্তব্য চালু নেই