ছেলেদের যে ৬টি রোম্যান্টিক আচারনকে পাত্তা দেয় না নারীরা
ছেলে ও মেয়েদের দৃষ্টিতে রোম্যান্সে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। ছেলেদের কাছে রোম্যান্টিক, এমন অন্তত সাতটি ঘটনা মেয়েদের চোখে ‘অদ্ভুত’। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন পুরুষদের চোখে এমন সাতটি রোমান্টিক বিষয় যাকে একদমই পাত্তা দেয় না মেয়েরা-
একসঙ্গে সিনেমা দেখা
ছেলেরা প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে দারুন পছন্দ করে। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের বিষয় সিনেমা হলে তো কথাই নেই। অথচ অনেকসময় ছেলেরা খোঁজই রাখে না, যে তাঁর পার্টনারের আদৌ ছবির বিষয়টা পছন্দের কি না। ছবিটি দুজন একসঙ্গে উপভোগ করলেন কিনা, তাতেই আসল রোম্যান্স লুকিয়ে রয়েছে।
সাংসারিক কাজে টুকিটাকি সাহায্য
ছুটির দিনে বাড়িতে কোনও পুরুষমানুষ তাঁর স্ত্রীকে সাহায্য করতে, টুকিটাকি কাজ করে দেওয়ার মধ্যে রোম্যান্স বোধ করেন। ভাবেন, এতেই যথেষ্ট ভালোবাসা দেখানো হল। স্ত্রীয়ের কৃতার্থ বোধ করা উচিত। অথচ, মেয়েদের কাছে এটা প্রতিদিনের একঘেয়ে বিষয়। রোম্যান্সের কি আছে এতে?
আবেগ মাইনাস কথা
কিছুক্ষণ সময় একসঙ্গে কাটানোর পর হয়তো ছেলেটির মনে কোনও আবেগঘন কথার উদয় হয়েছে, কিন্তু তা বলার জন্য অপেক্ষা করার মধ্যে রোম্যান্স অনুভব করেন ছেলেরা। বিশেষ কোনও দিনে গোটা দিন পার করে হয়তো ডিনার টেবিলে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে ছেলেটি ভালোবাসার কথা বলবে। মেয়েদের কাছে এটা তেমন রোমান্টিক নাও হতে পারে। তাদের মনের কথা শোনার জন্য অপেক্ষার তর সয় না।
বাসন মেজে দেওয়া
একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার উপভোগ করার পর বাসন ধুয়ে দিতে এগিয়ে আসাটা ছেলেদের কাছে রোম্যান্সের বিষয়। তবে বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী বাসন মেজে দিচ্ছে- এমনটা দেখতে করুণ বোধ করেন মেয়েরা।
রেস্টুরেন্টে বসার চেয়ার এগিয়ে দেওয়া
টেবিলে একসঙ্গে ডিনার বা লাঞ্চ করতে বসার সময় মেয়েদের আগে বসতে দিতে চেয়ারটি এগিয়ে দেওয়ার মধ্যে রোম্যান্স আছে বলে মনে করে ছেলেরা। কিন্তু মেয়েদের কাছে এটি নিছকই এক ধরনের ভদ্রতা, সভ্যতা বা সৌজন্যবোধের চিহ্ন।
শোয়ার আগে বিছানা গোছানো
ঘুমোনোর আগে বিছানা গুছিয়ে দেওয়াটাকে বেশ রোম্যান্সের কাজ বলে মনে করে অধিকাংশ ছেলেই। বিশেষ করে সদ্য বিবাহিতরা। কিন্তু অনেক সময় সঙ্গিনীর ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিতে ভুলে যায় অধিকাংশ ছেলেই। ভ্যাপসা গরমে এরকম বিছানা গুছোলেও স্ত্রীয়ের মন পাওয়া যাবে না।
মন্তব্য চালু নেই