হতাশা থেকেই অভিনেত্রী শিখার আত্মহত্যা!

বিএ পাশ খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শিখা জোশির মৃত্যুর কারণ এবং শেষ কথাগুলো কি ছিল সে বিষয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন শিখার রুমমেট। তার মতে, হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ অভিনেত্রী।

শিখার রুমমেট নিজেও সিনেমার কাজের সঙ্গে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা, অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা এবং নিজের মধ্যে অপরাধবোধ থেকে তৈরি হতাশার কারণে শিখা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।

শিখার এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তার রুমমেট বলেন, ‘আমি তাকে (শিখা) গত পাঁচ বছর যাবৎ চিনি। তিন মাস আগে তিনি আমাকে কল করেন এবং এ সময় তিনি খুব বিপর্যস্ত ছিলেন। তিনি খুব অভাবে ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি সমস্যা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেন। আমি তাকে আমার ফ্ল্যাটে রেখে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তার ২০ বছর বয়সি কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়েও আছে।’

হতাশার জন্য চিকিৎসাও নিতেন শিখা। এ বিষয়ে তার রুমমেট জানান, ‘তার ইনসোমনিয়া (নিদ্রাহীনতা) রোগ আছে এবং তিনি অনেকবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। তার কাছে কোনো কাজ ছিল না এবং লোকজন তার দুর্বলতার সুযোগ নিত। তিনি সবসময়ই বলতেন,ভালো মানুষ ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাজ করেন না।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিখার রুমমেট বলেন, ‘আমি একটু ঘুমিয়ে সন্ধ্যার দিকে উঠি। আমি ওয়াসরুমে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাই। ভেতর থেকে একটি গোঙ্গানির মতো শব্দ হচ্ছিল কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না। তাকে দরজা খুলতে বলতে থাকি। দশ মিনিট ধরে জোর করার পর তিনি দরজা খোলেন। কিন্তু তারপর চোখের সামনে আমি ভয়ংকর সেই দৃশ্য দেখতে পাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সে সময় আমার ফ্ল্যাটে থাকা অন্য একজন বন্ধুকে ডাকি। এবং তার শেষ মূহুর্তের কিছু কথা ভিডিও করি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি কেন তিনি এমন করলেন। তখন তিনি বলেন, ডা. শর্মা এবং ‍কিছু বিবাহিত ব্যক্তি তাকে অপব্যবহার করেছেন। এরপর প্রতিবেশি এবং বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে পাশে কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০১১ সালে শিখা জোশি একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। ওই ডাক্তার ২০০৬ সালে তার ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারি করেছিলেন।

গত ১৬ মে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বিএ পাশ সিনেমা খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শিখা জোশি। রক্তাক্ত জোশিকে আন্ধেরির কোকিলাবেন হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



মন্তব্য চালু নেই