রহস্যই থেকে যাচ্ছে আলোচিত কিছু ঘটনার রহস্য !
বিশ্ব কাঁপানো কিছু আলোচিত ঘটনা, যার মূল ও আসল রহস্য এখনো জানা যায়নি। কখনোই জানা যাবে না কিনা তাও নিশ্চিত না। ফলে ওই ঘটনার গুলোর রহস্য -রহস্যই থেকে যাচ্ছে। তেমনি কিছু ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে-
এরিয়া ৫১ :
এটি হল আমেরিকানদের চরম একটি গোপনীয় সামরিক ঘাটি। আজ পর্যন্ত কোন সাধারণ মানুষ এর পক্ষে এর ভিতরে ঢুকা সম্ভভ হয়নি।
এই ঘাটির আসল কাজ কি সেটা জানতে চেয়েও আজও মেলেনি আমেরিকান সরকারের কাছে এর সঠিক উত্তর। এই ব্যাপরটি নিয়ে কোন প্রশ্ন এলেই সবাই এড়িয়ে যায়। প্রায় মাঝে মাঝেই অদ্ভূত সব আকাশযান দেখতে পাওয়া যায় এই ঘাটির কাছাকাছি।
পৃথিবীর কোন আকাশযানের সাথে এর কোন প্রকার মিল নেই। অপরিচিত কাউকে দেখা মাত্রই গুলি করা হবে এরকম নির্দেশ ঝোলানো আছে এই ঘাটির চারপাশে।
ভিতরে কি আছে বা কি হচ্ছে এর ভিতরে, কোনভাবেই অন্য কোন মানুষর এর পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়। অনেকে ধারণা করে যে এলিয়েনরা পৃথিবীর সাথে নিয়মিত যোগযোগ করেছে। নিয়মিত তারা আসছে পৃথিবীতে। আর তাদের সেই আস্তানা হলো এই এরিয়া ৫১ পৃথিবীর মানুষরা যাতে ভুলেও কোন কিছু দেখতে বা জানতে না পারে সেজন্যই এত গোপনীয়তা রাখা হয় এখানে।
প্রিন্সেস ডায়নার হত্যাকান্ড !
আরেকটি সব থেকে বিতর্কিত ঘটনা হল প্রিন্সেস ডায়নার হত্যাকান্ড। ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়না এবং তার প্রেমিক ফায়াদ এক ভয়াভহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়।
বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের নির্দেশে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্হা MI6 এই দূর্ঘটনার আড়ালে এই ভয়াভহ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিলো।
অনেকে মনে করেন প্রিন্সেস ডায়নার তুমুল জনপ্রিয়তা, সত্যবাদিতা এবং রাজপরিবারের সমালোচনা ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে বিব্রত এবং অস্বস্তিকর অবস্হায় ফেলে দিয়েছিলো।
আবার ফায়াদের সাথে প্রিন্সেস ডায়নার সম্পর্ক ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার এক বিশাল ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছিলো, তাই হয়তো এই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছিল।
২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে বিমান হামলা :
বহুত পুরনো ক্যাচাল এটা। ২০০১সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে একটি ভয়াবহ হামলা হয়। বিশ্ব টেররিস্ট দল ‘আল-কায়দা’ ছিলো এই হামলার জন্য দায়ী।
অভিনব ছিলো সেই হামলা। ২টি যাত্রীবাহী প্লেন আছড়ে পড়ে টুইন টাওয়ারের ২টি টাওয়ারে। কিছুক্ষণ পর বিশাল দুটি ভবন একবারে ধূলোয় মিশে যায়। প্রায় ৩৫০০মানুষ হতাহত হয়েছিলো সেই হামলায়।
এর আসল সত্যি বের হয়েছিলো কয়েকটি। প্রধান ২টি হলঃ
১. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গোয়েন্দা সংস্হারা আগে থেকেই জানতো এই হামলার কথা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিজের আধিপত্য বিছানোর এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি তারা। তাই চুপ করে থাকে সবাই হামলার আগে।
২. এই হামলা আমেরিকা ও ইজরায়েলীদের মিলিতভাবে করা। কারণ অনেক প্রতক্ষ্যদর্শীরাই জানিয়েছিলেন বিমান ২টি ভবনে আছড়ে পড়ার সময় এবং ভবন ২টি ভেঙ্গে পড়ার আগে তারা সেখান থেকে প্রচন্ড বিস্ফোরনের শব্দ শুনেছিলেন।
আবার ভবন ২টির যে আদলে নির্মিত তা এভাবে এবং মূহুর্তে একদম মাটির সাথে মিশে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। যদি প্রচন্ড ধরণের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এই ভবনে তাহলেই সেটি সম্ভব। কারণ আবারও সেই মধ্যপ্রাচ্য।
১৯৬৯ সালে মানুষের চাঁদে পদার্পন :
এটি বহু পুরানো একটি আলোচনা। সালটি ছিল ১৯৬৯ এটি ছিল পৃথিবীর জন্য একটি সপ্নের বছর।
সপ্নকে সত্য করার বছর। এই দিন পৃথিবীর মানুষেরা প্রথম ছাদে তার পদধূলী রাখে। চাঁদ কে জয় করে অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলে মানুষ। তখন অনেকে এর বিরোধিতা করেন। তারা বলেন ১৯৬৯ সালে মানুষ চাঁদকে জয় করতে সক্ষম হয়নি।
তারা কারন হিসাবে বলে তখনকার যেসকল প্রযুক্তি ছিল তা দিয়ে চাঁদে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। তারা মনে করেন মার্কিনীরা তখন সম্পূর্ণ ঘটনাটি শুটিং করে মানুষদের সামনে তুলে ধরেন এবং তাদের এও ধারনা যে স্ট্যানলি কুবরিক ছিলেন এর পরিচালক।
২০০৫ সালের ৭ই জুলাই, লন্ডনের সিরিজ বোমা বিস্ফোরন :
২০০৫ সালের ৭ই জুলাই শুধু মাত্র ইংল্যান্ডের জন্য নয় তথা সম্পূর্ণ বিশ্ববাসীর জন্য এটি ছিল খুবই বেদনায়ক ও ভয়াবহ একটি দিন। ভূগর্ভস্হ ট্রেনস্টেশনে পরপর কয়েকটি বিশাল ভয়াবহ সিরিজ বোমা বিস্ফোরনে সেদিন প্রাণ হারাতে হয়েছিলো অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে।
বিভিন্ন জঙ্গি সংঘটনকে দায়ী করা হয় এই হামলার জন্য। হামলাকারীদের বিভিন্ন ফুটেজও প্রকাশ করা হয়। আসলে কে করেছিল এই হামলাটি? এটি কি তাহলে ছিলো ক্ষমতাশালী দেশগুলোর সাজানো কোন নাটক? উপরের হামলাকারীর ছবিটি দেখুন।
এর নাম Mohammed Sidique Khan সে এই ঘটনার সুইসাইড হামলার একজন আসামী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ছবিটি কোনভাবেই আসল হতে পারে না।
জায়গাসহ সব ঠিক আছে। কিন্তু খুব সূক্ষভাবে লক্ষ্য করলে এবং পরীক্ষা করলে খেয়াল করা যাবে ছবির লোকটিকে আলাদা করে ছবিতে বসানো হয়েছে।
পুরো ছবিটিই নকল। আবার অনেকে বলেন বোমগুলো হামলাকারীদের ব্যাকপ্যাক থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। এগুলো আগে থেকেই সেখানে রাখা ছিলো।
মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকানদের সাথে যুদ্ধে নিজেদের অংশগ্রহনকে দেশবাসীর বৈধতা দেবার জন্য এই হামলা ঘটানো হয়েছিলো বলে অনেকের ধারণা।
২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের সুনামি :
২০০৪ সাল এটি ছিল এশিয়ার মানুষদের জন্য খুব বেদনাদায়ক একটি দিন। এশিয়ার সমুদ্ররের পাশ্ববর্তী দেশগুলোর মানুষেরা এদিন প্রকৃতির এক ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর খেলার বাস্তব রূপ দেখতে পায়। বিশাল আকারের এই প্রকৃতিক দুর্যোগ সুনামী আছড়ে পড়ে সমুদ্র পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায় এই নিষ্ঠুর সুনামীতে।
বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলংকায় এই দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশী। বিশ্ববাসী কখনোই প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ রূপ ভুলতে পারবে না।
কিন্তু মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সংবাদপত্রের দাবী এর পিছনে বিশ্বের শক্তিশালী বেশ কয়েকটি দেশের হাত রয়েছে। গোপনীয় পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণে এই সুনামীর সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করেন অনেকে।
HIV ভাইরাস ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিলো :
AIDS হছে একটি মরণব্যাধি রোগ। যার চিকিৎসার উপায় এবং ঔষুধ এখন পর্যন্ত গবেষকরা আবিষ্কার করতে পারেনি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মরণব্যাধী রোগ হোল এটি।
প্রতিবছর বিশেষ করে আফ্রিকার প্রায় প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। Dr William Campbell Douglass প্রথমে একটি থিওরি দেন, পরে অনেক চিকিৎসক তাকে সমর্থন জানান। উনার মতে HIV ভাইরাসটি ১৯৭৪ সালে WHO এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিলো।
বিশ্ব জনসংখ্যা কমানোর জন্য এটি বানানো হয়। পরে বিভিন্নভাবে এই ভাইরাসটি সম্পূর্ণ আফ্রিকায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
আরেকদল বলে CIA অথবা KGB এই দুটির সংস্থার যেকোন একটি নিজেদের স্বার্থের জন্য এই ভাইরাসটি বানিয়েছিলো। কিন্তু কোন একটি দূর্ঘটনার কারনে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে এটি ছড়িয়ে পড়ে।
Fluoride প্রয়োগকে বাঁধা দিচ্ছে না WHO :
দাতের ক্ষয়রোধ করার জন্য পানযোগ্য পানিতে Fluoride মেশানো হয় এটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। আবার বৈজ্ঞানিকভাবেই এটি প্রমাণিত যে এই Fluoride এর অনেক খারাপ দিকও আছে। এর বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিকিয়া মানুষের শরীরকে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করে। একদল গবেষক এর ধারণা এসব জানা সত্ত্বেও WHO এই Fluoride প্রয়োগকে বাঁধা দিচ্ছে না। কারণ এর পিছনে রয়েছে বিশাল এক ব্যবসা। এর পিছনে রয়েছে বিশাল বিশাল সব ঔষুধ কোম্পানী। কারন মানুষ অসুস্হ থাকলেই তো এদের লাভ। আর মানুষ যদি অসুস্হ না থাকে তাহলে এত ঔষুধ কোম্পানী চলবে কি করে ??
আসলেই কি Elvis Presley তার মৃত্যু নিয়ে নাটক করেছিল :
এক কালের বিখ্যাত ও তুমুল জনপ্রিয় গায়ক Elvis Presley এর নাম শুনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। বিশ্বজুড়ে তার রয়েছে অগণিত ভক্ত।
এখনও মানুষ তার গান শুনে যায় এবং পছন্দ করে। বিখ্যাত এই গায়ক তরুণ বয়সেই জনপ্রিয়তার এক বিশাল রাজ্যে প্রবেশ করে। ১৯৭৭ সালে হঠাৎ করেই এই মহান গায়ক মারা যান।
একদলের দাবী সেই সময় নাকি আসলেই Elvis মারা যাননি। তিনি নিজের মৃত্যু ঘটিয়ে সবার থেকে আড়ালে চলে যান। অনেকে নাকি এরপরও তাকে দেখেছেন! তার আসল মৃত্যু নাকি হয় ১৯৯০ সালে। আসলেই কি Elvis Presley তার মৃত্যু নিয়ে নাটক করেছিল?
২০১২ রহস্য :
সবথেকে বড় ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই গুজব নিয়ে। তখন অনেকে অবশ্য হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে এই ব্যাপারটিকে। কিন্তু এর পক্ষের লোকর অভাব ও কিন্তু কম ছিল না।
প্রচুর মানুষ বিশ্বাস করেছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে এই পৃথিবীর বুকে। মায়ানদের ক্যালেন্ডারের সমাপ্তি এবং নষ্ট্রাডমাস এর কিছু ভবিষ্যৎবাণীর কারণে আগুন এর এই বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বিশ্বে।
আমি নিজেও বিশ্বাস করেছিলাম হয়তো ধ্বংস হবে না কিন্তু বিশাল এক পরিবর্তন আসবে পৃথিবীর উপর এই সময়ে। কিন্তু সব কল্পনা, ভবিষ্যৎবাণীকে মিথ্যা প্রমান করে পৃথিবী আজও চিরজীবী হয়ে রয়েছে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল:
যুগ যুগ ধরে চির রহস্যময় একটি জায়গা হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। আজও মানুষ এর রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না, কেন এর কাছাকাছি কোন যাত্রীবাহী জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ গেলে আর খুঁজে পাওয়া যায় না?
কেন এর কাছাকাছি গেলে মানুষ সব অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়? একদল গবেষক মনে করেন এই সমুদ্রের নীচে রয়েছে অন্য গ্রহের মানুষের বসবাস, তারাই এই সকল ঘটনার জন্য দায়ী।
আবার অনেকে মনে করেন হয়তো কোন অদ্ভুত কারণে পৃথিবীর সাথে বাইরের কোন গ্রহের অদৃশ্য একটি দরজা সৃষ্টি হয়েছে। হয়ত এসকল জাহাজ বা প্লেন সেই অদৃশ্য দরজার ফাদে পড়ে চলে যায় অন্য কোন গ্রহে।
Flying saucer crashed at Roswell :
সময় ১৯৪৭ সাল। স্হান আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর Roswell। হঠাৎ প্রচন্ডবেগে গোল চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে সেখানে বিকট শব্দে আছড়ে পড়লো।
সেই জায়গাটির প্রচুর মানুষ সেই দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছে। সবাই ছুটে গেলো সেখানে। কিন্তু আগুনের প্রচন্ড তাপ ফুলকির মতো বের হওয়ার কারণে কাছে ঘেষতে পারছিলো না কেউই।
কিছুক্ষণ বাদেই বিরাট আর্মির দল এসে জায়গাটি ঘিরে ফেললো। আর্মির একজন উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিকদের জানিয়ে গেলো যে বিরাট চাকতির মতো একটি বস্তু আকাশ থেকে পড়েছে। যেন কোন আকাশযান। বাকিটা পরে জাতে পারবেন। পরেরদিন সব পেপারেও এর খবর ছাপা হলো।
তাহলে কি এটা UFO !! Alienরা তাহলেই আসলেই পৃথিবীতে চলে এসেছে!!! কিন্তু কয়েকঘন্টা বাদেই শুরু হলো সরকারদের ধোকাবাজী। ঘন্টায় ঘন্টায় তারা নতুন করে গল্প ফাদতে লাগলো।
একবার বললো এটা আর্মিদেরই নতুন আকাশযান আবার পরে বললো এটা নাকি উল্কাপিন্ড!!! সত্যটা আর কখনো জানা যায়নি এরপর।
Assassination of president John F Kennedy :
আমেরিকার ৩৫তম সবার প্রিয় প্রেসিডেন্ট JFK কে ১৯৬৩সালের ২২শে নভেম্বর ডালাসে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। পরপর ৩টি গুলি করা হয় তাকে। ঘাতক হলো Lee Harvey Oswald। তাকে ধরাও হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরেই ঘাতককে আদালত প্রাঙ্গনে সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।
ধারণা করা হয় এটাও আমেরিকার নিজেদের গোয়েন্দা সংস্হা এবং উচ্চ পর্যায়ের লোকদের কাজ। নাহলে দিনেদুপুরে আমেরিকার মতো দেশের প্রেসিডেন্টকে এভাবে গুলি করে মেরে ফেলা একেবারেই অসম্ভব কাজ। এর আরো কয়েকটি যুক্তি……
১. প্রেসিডেন্টকে গুলি করে মারার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই শুরু হয় লাশকে নিয়ে এক নজিরবিহীন গোপনীয়তা। কারণ কি??? আবার তদন্ত কমিটি যখন এই হত্যার রিপোর্ট দেয় কেন সেই রিপোর্টে এত মিথ্যা তথ্য ও গড়মিল দেখা গেলো??
২. প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার জন্য হামলা হবে এরকম কয়েকটি গুজব কয়েকদিন ধরেই বাতাসে ভাসছিলো। তাহলে উনাকে সেইদিন কেন এত কম নিরাপত্তার মাঝে রাখা হলো ??
৩. সেই ঘটনার সাক্ষী সবাই বলছেন তারা সবাই ৩টি নয় বরং ৪টি গুলির শব্দ শুনেছিলেন এবং যে গুলিটিতে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় সেটি এসেছিলো অন্য জায়গা থেকে। কেন তাহলে সেই সাক্ষীদের এই দাবীর কোন তদন্ত না করেই সরকারী সংস্হাগুলো আষাড়ে গল্প বলে বেড়াচ্ছে???
মন্তব্য চালু নেই