উখিয়ায় দালালদের প্রলোভনে পড়ে অর্ধশতাধিক লোক নিখোঁজ

কক্সবাজারের উখিয়ার পশ্চিম হলদিয়াপালং গ্রামের অল্প শিক্ষিত কিছু নিরীহ লোকজন সংসারে অভাব অনটনে পড়ে বেশি আয়ের আশায় অল্প টাকায় দালালদের মাধ্যমে সোনার হরিণ ধরার আশায় সাগর পাড়ি দিয়ে অনিশ্চিত মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে গিয়ে ৩৮জন যুবক নিখোঁজ রয়েছে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে। সম্প্রতি কক্সবাজার ভিত্তিক একটি এনজিও সংস্থা সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে এমনই তথ্য উঠে আসে। তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিখোঁজ লোকজনদের খোঁজখবর নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহ সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
আমেরিকা ভিত্তিক এনজিও সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও সংস্থা হেলপ্ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক ও উখিয়া উপজেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম এমএ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে জানান, জালিয়াপালং ইউনিয়নের মানবপাচারের সবচাইতে স্পর্শকাতর গ্রাম পশ্চিম হলদিয়াপালং সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম। এখান থেকে কমপক্ষে ৫ হাজারেরও অধিক লোকজন সাগরপথে পাচার হয়েছে। অভাবের তাড়নায় অথবা অসচ্ছল পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার আশা করে এসব লোকজন মাত্র ২০/৩০ হাজার অগ্রিম দালালকে দিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা শুরু করলেও তাদের ভাগ্যে মালয়েশিয়া জুটেনি। কোথায় আছে তাও পরিবারে কেউ জানে না।
এসব যাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।
তৎমধ্যে আব্দুল বারীর ছেলে মোহাম্মদ বসু (২৮), আসমত আলীর ছেলে দিদার মিয়া (২৭), তৈয়ব আলীর ছেলে মুফিজুর রহমান (১৮), মকবুল আলীর ছেলে মোহাম্মদ (২৫), কালু মিস্ত্রির ছেলে আবছার মিয়া (১৬), নুরু রশিদের ছেলে সায়মন উদ্দিন (২১), আব্দু রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন (১৭), ছৈয়দ আহমদের ছেলে কপিল উদ্দিন (২৫), মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে রশিদ আহমদ (১৯), ছৈয়দ আহমদের ছেলে জামাল উদ্দিন (২২), ছব্বির আহমদের ছেলে গফুর আলম (১৪), ইমদাদ হোসনের ছেলে ইসলাম মিয়া (১৮), ফরিদ আলমের ছেলে আবুল হাসিম (২২), রশিদ আহমদের ছেলে রিফাত উদ্দিন(১৪), রশিদ আহমদের ছেলে মুহিবুল্লাহ (২১), আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল মিয়া (১৬), শামশুল আলমের ছেলে আবুল কাশেম কালু (১৯), রহিম আলীর ছেলে বেলাল উদ্দিন (২০), আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (১৫), জাগির হোছনের ছেলে ছিদ্দিক আহমদ (২৪), ফরিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (১৯), ফরিদ আলমের ছেলে মোজাম্মেল (১৭), হোছন আলীর ছেলে আবুল কালাম(১৮), মোহাম্মদ হাসেমের ছেলে আবদুল মালেক (২২), সাহাব মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (১৮), আব্দুল বারী ছেলে মোহাম্মদ বসু (১৯), আলী আহমদের ছেলে পেঠান আলী (১৭), আব্দুল হাকিমের ছেলে আনোয়ার (১৫), পেঠান আলীর ছেলে আবদুল জলিল (২০), নুর আহমদের ছেলে আনোয়ার (১৮), ফকির আহমদের ছেলে আবদু শুক্কুর (২২)।
ওই এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা আরো জানান, চোয়াংখালী গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে আলমগীর (২৮), সুলতান আহমদের ছেলে জয়নাল(১৫), কবির আহমদের ছেলে মনজুর আলম (১৮), মোহাম্মদ হোছনের ছেলে খাইরুল আলম (২০) ও কালা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (২২), ছেপটখালী গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে মুহিবুল্লাহ (২৬)সহ ৬ যুবককে জনপ্রতি আড়াই লক্ষ টাকার চুক্তিতে চোয়াংখালী গ্রামের দালাল শাহজাহান ও সাইফুল ইসলাম সাগর পাথে পাচার করে দিলেও এ পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলছে না।
মন্তব্য চালু নেই