৪ টি লক্ষণ, ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে ব্যবহার করছে না তো

প্রায়শই আমরা বুঝে উঠতে সক্ষম হই না যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাকে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। না বুঝে নিজের অজান্তেই “ব্যবহৃত” হতে থাকি, বুঝতে বুঝতে কেটে যায় অনেক খানি বেলা। আর তাই কীভাবে বুঝবেন আপনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর জানা এখন খুব জরুরী। তবে জেনে নিন এই ছোট তিনটি উপায়, যা দিয়ে আপনি সহজেই পরিমাপ করতে পারবেন আপনার ভালবাসার মানুষটি ভালবাসার নামে আপনাকে ব্যবহার করছে কিংবা ঠকাচ্ছে না তো!

টাকা-পয়সার ব্যাপারে সবসময় আপনাকেই এগিয়ে যেতে হয়-
ডেটিংয়ে যাবেন চিন্তাটি মাথায় আসতেই প্রথম যে ব্যাপারটি আপনাকে ভাবিয়ে তোলে তা হলো খরচ। চাকরিজীবী হলে মাসের শেষের দিনগুলোর ডেটিং হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। আর ছাত্রজীবনে তা একদিকে যেমন সুখের পরশ দেয়, অন্যদিকে চিন্তায় ফেলে দেয়। কেননা মাস শেষে হাত খরচও প্রায় শেষের দিকে! তবুও শত টানাটানিতেও সঙ্গী-সঙ্গিনীটিকে কিছুতেই বুঝতে দেয়া যাবে না তা। কিন্তু আপনার শেই ভালোবাসার মূল্য কি সে দিতে পারছে? ভাববার বিষয়! কেননা এই জিনিসটিই প্রমাণ করে প্রেমে আপনি ঠকছেন কিনা। আপনার মনের মানুষটি যথেষ্ট সামর্থ্যবান হলেও কোথাও বেড়াতে গেলে সবসময় যদি আপনাকেই খরচ করতে হয়, তবে ধরে নিতে পারেন সে আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করছে। কাজেই উত্তম উপায় হবে প্রথমত- খরচকে সমান দু ভাগে ভাগ করে দুজনেই বিলটি দিয়ে দেয়া। আর দ্বিতীয়ত- এমন প্রেমের সম্পর্ক পরিত্যাগ করা।

তখনই তাকে কাছে পাবেন যখন তার নিজের দরকার
যখনই দেখা করার কথা বলছেন, আপনাকে নানান বাহানায় এড়িয়ে যাচ্ছে। “আজ তো পারছি না আমি, অনেক ব্যস্ত’ বা ‘আমি অসুস্থ’। কিন্তু যখন তার দরকার হবে যেভাবেই হোক আপনাকে উপস্থিত করেই ছাড়বে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই আপনার সাথে ঘটতে থাকলে একটু সময় নিন আর ভেবে দেখুন। তার দরকারে আপনি ঠিকই উপস্থিত কিন্তু যখন আপনার ইচ্ছে করবে তখন সে নেই। তবে কি এই মানুষটি আপনাকে সত্যই ভালোবাসে, নাকি আপনাকে ব্যবহার করছে? একটু ভাবলেই উত্তর চলে আসবে খুব সহজেই।

আপনার উপর নির্ভরশীল
কথায় আছে ভালোবাসা মুানষকে অন্ধ করে দেয়। ভালমন্দ বিচারের হিতাহিত জ্ঞানটিও তখন কাজ করে না। আর অনেক কাঙ্ক্ষিত ভালবাসার মানুষটি যখন বিপদে তখন কি তার সাহায্য এগিয়ে আসবে না তার সঙ্গীটি? অবশ্যই আসবে। কিন্তু এও ভেবে দেখতে হবে সে আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে না তো। প্রথম পয়েন্টে শুধুমাত্র ডেটিং-এর খরচের কথা বলা হয়েছে এখানে জীবন-যাপনের কথা বলা হচ্ছে। বাড়ি ভাড়া, শপিং, লেখাপড়া কিংবা নানান রকমের বিপদের কথা বলে প্রায়ই কি ধার নিচ্ছে সে আপনার কাছে? এসব কিছুর ব্যয় যদি আপনাকেই বহন করতে হয় তবে সুদূরপ্রসারী কোন সিদ্ধান্তে না গিয়ে সম্পর্কটি নিয়ে ভাবুন।

শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করা-
প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য আপনাকে জোর করতে থাকে, কিংবা “শারীরিক সম্পর্ক না করলে ব্রেক আপ করবো” ধরণের হুমকি দেয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আশাই উত্তম।



মন্তব্য চালু নেই