গলফ সম্রাট টাইগার উডস। অসাধারণ সব পারফরম্যান্সের সৌজন্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তবে গলফের বাইরেও নারী ক্যালেঙ্কারির জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত এই আমেরিকান তারকা। সম্প্রতি স্কিয়ার লিন্ডসে ভনের সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদের পর নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন তিনি।

দীর্ঘ তিন বছর সম্পর্কের পর দুই সপ্তাহ আগেই টাইগার উডসের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে অলিম্পিক স্কিয়ার লিন্ডসে ভনের। এর কারণ হিসেবে লিন্ডসে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত কর্মব্যস্ত জীবনের জন্যই তাঁরা ব্রেক-আপের পথ বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু লিন্ডসের জীবনে টাইগার বরাবরই বিশেষ মানুষ হয়েই থাকবেন বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আদৌ কী কর্মব্যস্ততার জন্য টাইগারের সঙ্গ ত্যাগ করলেন ভন? অবশেষে সেই গোপন তথ্যটাও প্রকাশ হলো।

সাবেক স্ত্রী ও সুইডিশ মডেল এলিনের সঙ্গে যে কারণে সম্পর্ক শেষ হয়েছিল টাইগার উডসের, ভনের সঙ্গেও সম্পক্যছেদের কারণটা ঠিক একই। তাহলে কী সেই কারণ? যে কারণে অলিম্পিক সোনাজয়ী স্কিয়ারের সঙ্গে থাকতে পারলেন না সর্বকালের অন্যতম সেরা গল্ফার?

কারণ টাইগারের সেই পুরোনো প্রবল যৌন ক্ষুধা। এমনটাই জানাচ্ছেন সেলিব্রিটি জুটির এক বন্ধু। গত ফেব্রুয়ারিতে ফার্মার্স ইনসিওরেন্স ক্লাসিক থেকে বিদায় নেওয়ার পরই বিছানায় আরও বেশি করে সয্যাসঙ্গিনী পাওয়ার জন্য মেতে ওঠেন টাইগার উডস। এ বিষয়ে ডেইলি মেইল অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে ভনের বান্ধবী বলেন , ‘হেরে গেলে অনেক পুরুষই মদ্যপ হয়ে ওঠেন। কিন্ত হার ভোলাতে টাইগার সেক্স করতেই পছন্দ করেন। টাইগারের অবৈধ সম্পর্ক জানতে পারার পর লিন্ডসে আর থাকতে পারল না ওর সঙ্গে।’

শুধু তাই নয়? টাইগার সম্পর্কে সাবেক হলিউড অভিনেত্রী মিচেল বারুন আরও বলেন, ‘২০০৬-০৭ পর্যন্ত আমি টাইগারকে নিয়মিত কল গার্লদের যোগান দিয়েছি। একসঙ্গে দু’জন মেয়ের সঙ্গেও সেক্স করত টাইগার। কমপক্ষে ১২০ জন মেয়েকে বিছানায় পেয়েছে ও। ১৫-৪০ হাজার ডলার পর্যন্ত দিতে রাজি থাকত টাইগার। প্রকৃতপক্ষে সে এত বেশি টাকা দিত একটা কারণেই, যেন এসব কুর্কীতি কোনও ভাবেই ফাঁস না-হয়ে যায়।’

২০০৪ সালে এলিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল টাইগার উডসের। কিন্তু এক কলগার্লের সঙ্গে টাইগারের নগ্ন ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় টাইগারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল এলিনের। এবারও সেই টাইগারের যৌন কামনা-লালসাই সম্পর্ক শেষ করে দিল টাইগার উডসের।

সূত্র: ডেইলি মেইল