‘বিয়ে মানেই হল ধর্ষণ করার লাইসেন্স’! (ভিডিওসহ)

একটা মেয়ের কাছে বিয়ের অর্থ ঠিক কী? দুটি আত্মার, দুটি শরীরের মিলন। হ্যাঁ, এ রকম আশা নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে উঠলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়েটা তাঁর কাছে হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। রাতের পর রাত নিজের অনিচ্ছায় স্বামীর হাতে হতে হয় ধর্ষণের শিকার।

যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, এদেশে এসব কিছু হয় না। কিন্তু, মন্ত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে যথেষ্ট সাহসী ভূমিকায় সঞ্চালনা করেছেন বসুন্ধরা কল।

46685

বিয়েটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের কাছে ঠিক কী হয়ে দাঁড়ায়, তা ওই ভিডিওতে চূড়ান্ত কটাক্ষের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।

বলা হয়েছে,
১. বিয়ে মানে হল, বিয়ের এই সুন্দর দিনটা চিরজীবন মনে রাখা। অবশ্যই এই দায়িত্ব মেয়েদেরই।

২. বিয়ে মানেই আপনার নতুন বাবা-মা, দেওর-ভাসুর, মানে বিয়ের পর আপনি যাঁদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন, তাঁরা সবাই আপনাকে মারধর করতে পারেন, মানসিকভাবে নির্যাতন করতে পারেন, জ্বালিয়েও দিতে পারেন। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন আপনার বাবা-মা। বলেন, ‘একটু মানিয়ে নে মা। বিয়ে মানেই তো একটু সমঝোতা করে চলা। এটা গোটা জীবনের ব্যাপার। জীবনটা নষ্ট করিস না।’

৩. বিয়ে কথাটির অর্থ ধর্ষণের লাইসেন্স পাওয়া। আমাদের এই মহান দেশে স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে কোনও অসুবিধে নেই। আমাদেরই নির্বাচিত এক নেতা সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের দারিদ্র্য, অশিক্ষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে, আমাদের দেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে ধরা ঠিক নয়। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, প্রাচীনকাল থেকেই মেয়েদের জায়গা তো পুরুষদের পায়ের তলায়, বা তার থেকে একটু ওপরে।

৪. এমন একটা দেশের থেকে আর কী-ই বা আশা করা যেতে পারে? যেখানে পণের জন্য মেয়েদের বেচে দেওয়া হয়।

৫. বিয়ের আগেই বাবা-মা শিখিয়ে দেন, ‘মা, বিয়ের পর তোমার শ্বশুর-শাশুড়িই তোমার নতুন বাবা-মা।’ আর ছেলেদের বিয়ের আগে শেখানো হয়, ‘মেয়ে আর ড্রাম, এগুলি একমাত্র পিটালেই ঠিক সুরে বাজে।’

৬. এই দেশে বিয়ের পর একটি মেয়ের পদবী, পরিচয়, দায়িত্ব, পছন্দ, এমনকী বাবা-মাও বদলে যায়। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে বদলায় শুধু বেডরুম।

৭. এই দেশে একটা মেয়ের পড়াশোনার থেকেও বিয়েতেই বেশি খরচ করা হয়।

ভিডিওটিতে এদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণাকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করে তুলে ধরা হয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডের কথা। বলা হয়েছে, নির্ভয়া রাতে দিল্লির রাস্তায় বেরনোয়, তাঁকে শাস্তি দিতেই তাঁর ধর্ষণ করা হয়। এমনই অভিমত কিছু মানুষের। এই দেশেই এমনটা হয়। এধরনের মানুষদের জন্য একটা বিশেষ অফারের কথাও বলেছেন বসুন্ধরা কল।

তিনি বলেছেন, ‘পুরুষদের বলছি, এবার আর ধর্ষণ করার জন্য আপনাদের রাস্তায় বেরতে হবে না। এই মহান কাজ আপনারা করতে পারেন বাড়িতে বসেই। আপনার আরামের কথা মাথায় রেখেই এই অফার। এবার ধর্ষণ করুন যখন-তখন। এজন্য আপনাকে করতে হবে একটা বিয়ে। আর আপনি পেয়ে যাবেন একটি সুন্দরী মেয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সঙ্গে আবার পেয়ে যাবেন পণও। আর সেই মেয়েটিকে যেকোনওরকম ভাবে অপমান করার অধিকার আপনি পেয়ে যাবেন একেবারে বিনামূল্যে।’



মন্তব্য চালু নেই