দ্রুত স্বামীর কাছে যেতে চান হাসিনা
ভিসা হাতে পেলেই যতদ্রুত সম্ভব শিলং রওনা হবেন সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
বুধবার দুপুরে গুলশানের ৭২ সড়কে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘ভিসার জন্য সকালেই আবেদন জমা দিয়েছি। হাইকমিশনে আমাদের লোকজন কাজ করছেন। ভিসা হাতে পেলেই আমি শিলং রওনা হবো।’
তিনি জানান, ভিসার আবেদনপত্রে সড়ক ও আকাশ পথ উল্লেখ করা হয়েছে। যেটাতে সুবিধা হবে, সেই পথেই যাবেন তিনি।
স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতা তো সব সময়ই কামনা করে আসছি। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তো কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। অবশ্যই সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’
দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ তার স্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বুধবার সকাল ৯টায় ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ভিসা দ্রুত করতে দূতাবাসে যোগাযোগ করছেন বলে জানান হাসিনা আহমেদ।
জানা গেছে, সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ও তার ভগ্নিপতি মাহবুবুল করীম বুলবুলসহ চারজনের নামে ভিসার আবেদন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘মঙ্গলবারের পর আর তার (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি, শিলংয়ের মিমহ্যান্স মেন্টাল হাসপাতাল থেকে তাকে সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
শিলং থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যেসব আইনি জটিলতা রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এ ব্যাপারে আমি সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’
স্বামীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ায় দেশবাসীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাসিনা আহমেদ।
এ সময় সালাহ উদ্দিন আহমেদের প্রেস সচিব সাফওয়ানুল করীম ও ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরুল ইসলাম হেলালী উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। নিখোঁজ স্বামীকে খুঁজে পেতে হাসিনা আহমেদ দুই দফা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দেন।
মন্তব্য চালু নেই