জাপানিজ মহিলাদের দীর্ঘজীবন লাভের রহস্য কী ?

বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারী, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপের নারীদের চাইতে সবচাইতে দীর্ঘজীবন লাভ করে থাকেন জাপানিজ নারীরা। শুধু তাই নয়, জাপানিজ নারীরা রোগ বালাই থেকেও মুক্ত থাকেন বেশী অন্যান্য দেশের নারীদের তুলনায়। তাদের এই রোগমুক্ত দীর্ঘজীবন লাভের গোপন রহস্যের এই গবেষণা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টাইমস।

স্টাডি রিপোর্টে দেখা গেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারীদের তুলনায় জাপানী নারীদের গড় আয়ু ৮৬.৪ বছর। পক্ষান্তরে অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে ইংল্যান্ডের নারীরা ৮২.৮ বছর, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসে ৮২.১, স্কটল্যান্ডের মহিলারা ৮০.৭ বছরের গড় আয়ু লাভ করে থাকেন।

টাইমসের “পটেনশিয়াল ফর ফারদার ইনক্রিসেস-ইন লাইফ এক্সপেকটেন্সি ফর ওম্যান” শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ নারীরা জাপানী নারীদের ডায়েটারি যদি ফলো করেন, তাহলে সহজেই দীর্ঘ আয়ু লাভ করতে পারবেন।

কী সেই রহস্য:
কাঁচা মাছ, সবজি আর গ্রিন টি সেবনের মাধ্যমে জাপানিজ মহিলারা এই দীর্ঘ আয়ু লাভের গোপন রহস্য তাদের এই স্টাডিতে প্রকাশ করেছে। গবেষণা করে দেখা গেছে এমন সহজ সাধারণ ডায়েট ফলো করেই জাপানের নারীরা লম্বা জীবনের অধিকারী হন। কারণ এমন ডায়েটের ফলে তাদের রক্তে কোলেষ্টোরেল লেভেল থাকে পরিমিত এবং ব্লাড প্রেসার থাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। অর্থাৎ এই দুটি বয়সজনিত রোগের “রিস্ক ফ্যাক্টর” থাকে স্বল্প।

নাওমী মরিয়ামা নামের একজন জাপানী সহ-লেখিকা তার নিজের লেখা বই জাপানিজ “ওমেন ডোন্ট গেট ওল্ড-সিক্রেট অব মাই মাদার্স টোকিও কিচেন” গ্রন্থে দেখিয়েছেন কেমন করে জাপানের মহিলারা তাদের এই সাধারণ ডায়েটের মাধ্যমে নিজেদের কোলেষ্টরেল ও ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস মুক্ত থাকেন।

টাইমসের জেরোনটোলজিষ্ট ক্রেগ উইলকক্স বলেন, জাপানের মহিলারা সপ্তাহে অন্তত তিন বার কাঁচা মাছ, প্রচুর পরিমাণে সব্জি ও গ্রিন টি, সেই সাথে সয়া ফুড আর অক্টোপাস খেয়ে থাকেন- যাতে কলেষ্টোরলের পরিমাণ থাকে পরিমিত, কোন অবস্থাতেই বৃদ্ধি পায়না, ব্লাড প্রেসার থাকে নিয়ন্ত্রণে।

জাপানের পুরুষদের আয়ুকালে ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র লক্ষণীয়। জাপানের পুরুষদের গড় আয়ু ৭৯.৯ বছর, অপরদিকে ইংল্যান্ড ৭৯, আর ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৭৮.১, স্কটল্যান্ডে ৭৬.৫ বছর বেচে থাকেন।

আইসল্যান্ডের পুরুষেরা সবচাইতে দীর্ঘ জীবন লাভের রেকর্ড রয়েছে, তাদের গড় আয়ু ৮০.৮ বছর, অন্যদিকে সুইসদের গড় আয়ু ৮০.৫ বছর থাকার রেকর্ড স্টাডিতে উল্লেখিত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই