ঐশ্বরিয়ার প্রথম বিয়ে অভিষেকের সঙ্গে হয়নি! জানুন কিছু অদ্ভুত বিয়ে সম্পর্কে

প্রেম ভালোবাসা অনেক হইছে। এবার বিয়ের পালা। আমাদের দেশের চিরাচরিত বিয়ের রীতি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিয়ের চিরাচরিত কিছু রীতি রয়েছে। তবে কিছু কিছু দেশে এমন রীতি রয়েছে যে রীতি তাদের কাছে স্বাভাবিক হলেও আমাদের কাছে অস্বাভাবিক ও অদ্ভুত মনে হবে। আসুন জেনে আসি বিশ্বের কয়েকটি দেশের বিয়ের বিচিত্র রীতি সম্পর্কে। funny প্রথমেই যাই প্রতিবেশী দেশ চায়নার দিকে। আমাদের দেশে বিয়ের পর মেয়েরা যখন বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ির দিকে রওয়ানা হয় তখন তাদের কাঁদতে দেখা যায়। কিন্তু চায়নার তুইজা গোষ্ঠীর মেয়েদের এই কাজটা বিয়ের আগের ঠিক এক মাস ধরে করতে হয়। এই একমাস প্রতিদিন নিয়ম করে কনেরা এক ঘন্টা করে কাঁদে। শুধু তাই নয় বিয়ের দিন যতই ঘনিয়ে আসে কান্নার দলের সদস্য সংখ্যা ততই বাড়তে থাকে। বুঝলেন না? দাড়ান বুঝিয়ে দিচ্ছি। বিয়ের যখন ২০ দিন বাকি থাকে তখন মেয়ের সাথে এসে যোগ দেয় তার মা। বিয়ের যখন ১০ দিন বাকি থাকে তখন এসে যোগ দেয় কনের নানি। আর শেষের বাকি কয়েকটা দিন পরিবারের সবাই এই কান্নার আসরে যোগ দেয়। এটি আসলে এমন এক ধরনের কান্না যা কিনা আমাদের দেশে কান্নার সাথে সাথে প্রলাপ বকার মতো। এটিকে তারা নিচু স্বরে গান গাওয়ার মতো করে করে। এটিই তাদের চিরাচরিত ঐতিহ্য। Picture1 আপনারা কি জানেন ঐশ্বরিয়া রাই এর প্রথম বিবাহ একটি গাছের সাথে হয়েছিলো। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। একটু অপেক্ষা করুন বিশ্বাস না করে পারবেন না। ভারতে মাঙ্গলিক মনে করা হয় এমন মেয়েদের প্রথমে একটি গাছের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেই গাছটিকে কেটে ফেলা হয় এবং তারপর হয় তার স্বামীর সাথে বিয়ে হয়। এর কারণ হল যেসকল নারী মাঙ্গলিক হয় তাদের তাদের বিয়ের পর পরই তাদের স্বামী মারা যায়। এজন্য স্বামীর উপর থেকে এই অভিশাপ দূর করার জন্য প্রথমে গাছের সাথে বিয়ে দিয়ে গাছটিকে মেরে ফেলা হয়। ঐশ্বরিয়া রাইও ছিলেন একজন মাঙ্গলিক। এবার নিশ্চয়ই বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে। অনেকের মনে মাঙ্গলিক নিয়ে একটু খটকা থাকতে পারে। তাদের বলছি কে মাঙ্গলিক এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। এটা কেবল পুরোহিতরাই বিভিন্ন ধরনের নিয়ম নীতি রক্ষা করে নির্ধারণ করেন। Kissing-Tradition-Sweden এবার আসুন এক ফাঁকে ইউরোপের দেশ সুইডেন থেকে ঘুরে আসি। সুইডেনের রীতিতে কান্নাকাটি কিংবা গাছ কাটাকাটির বিষয় নেই। তবে তাদের এই রীতিটাও আরও অদ্ভুত মনে হচ্ছে। এখানে দেখা যাচ্ছে বর যদি বাথরুমে যাওয়ার জন্য বিয়ের টেবিল থেকে উঠে যায় তবে উপস্থিত পুরুষ মেহমানরা এসে নববধূকে কিস করার সুযোগ পায়। তেমনিভাবে নববধু যদি বাথরুমে যায় তবে উপস্থিত নারীরা এসে বরকে কিস করে রেখে যাবে। Mongols21 মঙ্গোলিয়ানরা কি করে দেখুন। চীনের মঙ্গোলিয়ান গোষ্ঠীর কারো বিয়ের তারিখ ঠিক করতে হলে বর-বধুকে একটি ছুরি নিয়ে একসাথে একটি মুরগির ছানা মারতে হযবে। এরপর দেখা হয় সেই মুরগির ছানার কলিজার রঙ কেমন। যদি তা টাটকা এবং শুদ্ধ মনে না হয়, তবে বিয়ে আর হবে না। অপেক্ষা করতে হবে এভাবে যতদিন না দুজন মিলে একটি মুরগির ছানা মারতে পারে যার কলিজা দেখতে লাগবে টাটকা। তবেই না বিয়ের তারিখ আর বিয়ে। তবে এর কারণ আসলে কি তা জানা যায় নি। D828029 ফিজিয়ানদের অবশ্য বিয়ে করতে হলে অনেকটা কষ্ট করতে হয়। ফিজির পুরুষদের বিয়ে করতে হলে তিমি মাছের দাঁত সংগ্রহ করতে হবে। কোনো মেয়ের বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হলে ছেলের কাছে অবশ্যই তিমি মাছের দাঁত থাকতে হয়। সমুদ্রের তলদেশে বসবাস করা তিমি মাছের দাঁত সংগ্রহ করাটা অনেকটাই অসম্ভব কাজ। তাই বাধ্য হয়ে অনেককেই ব্ল্যাক মার্কেটে ধরনা দিতে হয়। marriage1 প্রাচীন স্পারটা নগরীতে হবু বউয়েরা মাথার চুল কামিয়ে ছেলেদের মতন পোশাক-আশাক পরে তৈরি থাকতো। এর পরের কাজটুকু ছিল মূলত হবু বরের অগ্নি পরীক্ষা। বিয়ের ইচ্ছে থাকলে সবার চক্ষু ফাকি দিয়ে এই ছেলে সেজে থাকা তার হবু স্ত্রীকে চুরি করে নিয়ে পালাতে হতো তাকে। তবেই কেবল সে নিজেকে বিয়ের উপজুক্ত বলে প্রমান করতে পারতো। interesting-wedding-traditions-borneo উত্তর বরনিওর তাইডং উপজাতির রীতি অনুয়াজী বিয়ের পর নব দম্পতিকে তিন দিন এবং তিন রাত পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। ভাবছেন ভালই তো, নিজেদের ভালবাসা কোনো ঝামেলা ছাড়াই দিব্যি উপভোগ করার একটা ভালোই তো সুযোগ! সমস্যা একটাই, এই তিন দিন এবং তিন রাত তাদের আটকে রাখা মানে কোথাও যেতে দেয়া হয় না। এমনকি প্রাকৃতিক কাজকর্মে সাড়া দেবারও কোন সুযোগ দেয়া হয় না।। সত্যি বলছি কিন্তু।



মন্তব্য চালু নেই