আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা লজ্জিত !
রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবসে আমরা সবাই যেন মা’কে নিয়ে একটু অন্যরকম আবেগপ্রবণ ছিলাম। যাদের মা জীবিত তারা মায়ের সাথে আড্ডা দিয়ে কিংবা ভাইবোন মিলে মাকে জড়িয়ে ছবি তুলে হাসি-আনন্দ করে দিনটি কাটানোর চেষ্টা করি। আবার যাদের মা নেই তারা নামাজ, দোয়া দরুদ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে মায়ের জন্য সবোর্চ্চ যাজা কামনা করেছি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যার যা খুশি ইচ্ছেমত মাকে নিয়ে নানা কথা লিখে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি, আবার অনেকে মাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে তা পোস্ট করেছি। সবমিলেই দিবসটিতে মা একজন নারী হিসেবে মূলত নারীদেরই মর্যাদা এবং তাদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা-ভালবাসার বিষয়টি সমুন্নত হয়েছে।
কিন্তু এই মা দিবসেও সংঘটিত বেশ কয়েকটি ঘটনা আমাদেরকে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। এই মা দিবসেই ছুটি না পেয়ে কারখানার টয়লেটে এক মায়ের সন্তান প্রসব, নড়াইলের গৃহবধুকে গাছে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার না হওয়ায় হাইকোর্টের রুল জারি এবং বর্ষবরণে টিএসসিতে নারী লাঞ্ছনার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত হয়েছেন কয়েকজন ছাত্রী। বখাটেদের উৎপাতের অসহ্য গ্লানি সইতে না পেরে এক নারীর আত্মহনন আর প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো তুচ্ছ ঘটনাও সরকারের মন্ত্রী-এমপি এমন কী প্রধানমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়। কিন্তু এসব ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্টরা নীরব-খুবই শুন-সান।এতে আমরা গোটা জাতি আরো বেশী লজ্জিত ও উদ্বিগ হয়েছি।সামনে দিনে আমাদের সমাজ কোথায় গিয়ে ঠেকবে? সমাজের এই পচন রোগ কী কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না?
টেলিভিশনের দেখে ও পত্রপত্রিকা পাঠে যতদূর জানতে পেরেছি তাতে, বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় নারী লাঞ্ছনাকারীদের কাউকেই ২৬ দিনেও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে নিপীড়কদের গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ ছয় দফা দাবিতে রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। মিছিল নিয়ে কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে তারা সার্কিট হাউস রোড যাওয়ার পর পুলিশ আবারও বাধা দেয়। এবার বাধা ভাঙতে না পেরে রাস্তার ওপর বসেই স্লোগান দেওয়া শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২০ মিনিট রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করার পর মেরে-ধরে রাস্তা থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে পুলিশ কর্তৃক লাঞ্চিত করা ছাড়াও ৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে ছাত্র ইউনিয়নের দাবি।
টেলিভিশনে ও পত্রিকার পাতায় যা দেখলাম তাতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠি, বন্দুকের বাঁট আর বুট চলেছে সমানতালে। নেতা-কর্মীরা কিছুক্ষণ মার খেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কয়েকজন মার খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। পরে অন্যরা তাঁদের তুলে নিয়ে যান। কিছু দূরে গিয়ে আবারও তাঁরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান থেকে পানি ছুড়ে। ধাওয়া খেয়ে বিভিন্ন ভবন, দোকানের আড়ালে আশ্রয় নেওয়া বিক্ষোভকারীদেরও খুঁজে বের করে মারধর করে পুলিশ।
বিস্ময়ে বিষয় হলো- এ সময় সার্কিট হাউস রোডে সরকারি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারের সামনে ফুটপাতে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী ইসমত জাহানকে চুলের মুঠি ধরে বের করে আনেন পুলিশের একজন পুরুষ সদস্য। সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকজন ছুটে যান তাঁকে মারতে। একজন লাথি মারেন, আরেকজন ওড়না ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, আরেকজন গলাধাক্কা দেন। এ সময় ইসমত পড়ে যান। এরপর পুলিশ তাঁকে টেনে তোলার জন্য টানাহেঁচড়া করে। এভাবে নারী লাঞ্ছনার বিচার চাইতে এসে উল্টো লাঞ্ছিত হয়েছেন আরো অনেক ছাত্রী। পুরুষ পুলিশের লাথি-ঘুষি খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে কয়েকজন ছাত্রীকে। ধাওয়া খেয়ে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ছাত্রীটিকেও চুলের মুঠি ধরে টেনে বের করে পিটিয়েছে পুলিশ। এরচেয়ে আর নির্মমতা আর কী হতে পারে! এ ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন, আমরা লজ্জিত।
যে পুলিশের দুর্বলতায় ও দায়িত্বে অবহেলায় বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটলো আর সেই পুলিশই আজ আবার প্রতিবাদকারী নারীদের নির্দয়ভাবে পিটালো, অথচ লাঞ্ছনাকারীদের কাউকেই ২৬ দিনেও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো যাঁরা নিপীড়কদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করছেন, পুলিশ তাঁদের ওপরই বর্বর হামলা চালিয়েছে। নববর্ষ পালনের সময় নারীরা ভিড়ের মধ্যে একদল বখাটে যুবকের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলো টিএসসি এলাকায়। সেদিন যা ঘটেছিলো অপরাধীদের দ্বারা আজ তা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটিয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা। ওড়না ও চুলে মুঠো ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, এটা কী সেই টিএসসির ঘটনার চেয়েও কোনো অংশে কম লাঞ্ছনার? আর রোববারের ঘটনা কী প্রমাণ করে না যে বর্ষবরণের ঘটনা ঘটেছিল পুলিশের রহস্যজনক নীরব ভুমিকা আর আস্কারাতেই! যা পুলিশের তদন্তেরও বেরিয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক দীর্ঘ সময় ধরে নারীদের লাঞ্ছিত করে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দীসহ দুজন। শুরু থেকেই লিটন নন্দী ও অন্যরা অভিযোগ করে আসছিলেন, বারবার পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলেও পুলিশ লাঞ্ছনাকারীদের ঠেকাতে বা ধরতে এগিয়ে আসেনি। দুজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে বিষয়টিকে নাকচ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশেরই সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে লাঞ্ছনার প্রমাণ মেলে। তবে হাইকোর্টের রুল জারি সত্ত্বেও এ ঘটনার ২৬ দিনেও সেই লাঞ্ছনাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
লাঞ্ছনার ঘটনার পরদিন থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্রসংগঠন দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। ঘটনার পরদিন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিদিন কোনো না কোনো সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে।এর পরও পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং কাল মঙ্গলবার সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
এদিকে আমরা মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পেরেছি- গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায় শনিবার দুপুরে ছুটি না পেয়ে কারখানার টয়লেটের ভেতরে নারী শ্রমিকহামিদা আক্তারের সন্তান প্রসবের ঘটনা। প্রসবের পর মাকে বাঁচানো গেলেও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, ওই কারখানার লাস্টিং সেকশনে কাজ করেন নারী শ্রমিক হামিদা আক্তার। তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় শনিবার দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি কারখানার লাস্টিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. রতন মিয়ার কাছে ছুটির আবেদন করেন। কিন্তু তাঁকে ছুটি না দিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে বলেন ওই কর্মকর্তা। এতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তিনি কারখানার ভেতরের একটি টয়লেটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও বাচ্চা প্রসব করেন। পরে তাঁকেসহ নবজাতককে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে কারখানার পরিচালক আজিজুর রহমানের বক্তব্য হলো, ছুটি না দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালিকদের যাই বলা হোক না কেন, এঘটনার মাধ্যমেই আমাদের দেশের শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মালিকদের দায়বদ্ধতা কতটুকু সেই চিত্র ফুটে উঠেছে। পরে এবিষয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে রোববারই এ খবরটি আমলে নিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে কেন প্রসবকালীন ছুটি দেয়া হয়নি তা জানাতে সংশ্লিষ্ট কারখানার পরিচালকসহ তিনজনকে তলব করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন কারখানার পরিচালকসহ তিনজনকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনায় জড়িত ও দায়ীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ২৪ জুন প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নড়াইলে গৃহবধুকে গাছের সঙ্গে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় দুইদিন আগে একটি কলাম লিখেছিলাম তা বাংলামেইলসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রকাশিত হয়। এঘটনায় রোববার হাইকোর্ট রুল জারি এবং জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন ।
এলাকার বখাটে শাওনের জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে শনিবার রাতে আত্মহনন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আকতার (১৪)। মাকে উদ্দেশ করে তার শেষ কথা ছিলো- ‘তোমাদের গত দু’বছর ধরে বলে আসছি। কিন্তু তোমরা ওকে (বখাটে শাওন) থামাতে পারলে না। আমি আর এ জ্বালাতন সহ্য করতে পারছি না। আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও।’ অথচ বখাটের পরিবার থেকেউল্টো অপবাদ দেয়া হয়েছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই আত্মহত্যা করেছে সাথী।
এছাড়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সনিয়া জান্নাত রিমঝিমে নামে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে এক ছাত্র। পরে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে উদ্ধার করে ইবি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ইবির জিমনেসিয়ামের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনকারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন। ঘটনার পরে অভিযুক্ত সাদ্দামের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ওই ছাত্রী। কিন্তু আমার ওই বোনটি কী প্রকৃত অর্থে এই লাঞ্ছনার বিচার পাবেন? অতীতে এধরনের অনেক ঘটনাই সংঘটিত হয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। কিন্তু তদন্তের নামে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। ফলে এ ঘটনার বিচার নিয়েও আমাদের সন্দেহ পোষণ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।কেননা, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এধরনের অনেক ঘটনা অহরহ ঘটছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না। আর এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের সমাজকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জানিনা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোথায়, কী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে!
বখাটে শাওনের জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহননকারী সাথী হয়তো তার মাকে সামনে পেয়ে শেষ কথায় ‘এমন কথা’ বলে ক্ষমা চেয়ে গেছেন। প্রকৃত অর্থে সাথী তার মাকে নয়, আমাদের গোটা জাতিকেই উদ্দেশ্য করেই হয়তো শেষ আকুতির কথাগুলো বলে গেছেন।এতে আমরা খুবই লজ্জিত, সেই সাথে উদ্বিগ্ন।
সবশেষে আমাদের রাষ্ট্র-সমাজের কর্ণধারদের প্রতি আহবান রাখবো- আসুন আমরা সবাই সময় থাকতে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, এসব বিষয়ে সচেতন হই, দলবাজির উর্ধ্বে উঠে এসব কমকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করি। অপরাধী অপরাধীই- হোক সে ক্ষমতাসীন দলের কোনো সদস্য, হোক সে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য কিংবা সাধারণ কোন অপরাধী। সেই সাথে দেশবাসীর প্রতি আহবান- আসুন, সময় থাকতে আমরা সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং আমাদের দেশ-জাতি ও সমাজকে অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করি।
মন্তব্য চালু নেই