নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ হত্যা মামলায় আদালতে দেওয়া দুটি চার্জশিটের মধ্যে এক মামলার বাদী নারাজি আবেদন দিয়েছেন। নিহত সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এ নারাজি আবেদন জমা দিয়েছেন।

তবে শুনানির সময় অপর মামলার বাদী উপস্থিত না হলেও তিনি চার্জশিটের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম শফিকুল ইসলামের আদালতে সোমবার সকালে শুনানি শেষে ৮ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন চার্জশিটের ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিউটির মামলার আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট ও এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ায় নারাজি আবেদন দেওয়া হয়েছে।

সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়

অন্যদিকে এ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলার আসামি অজ্ঞাত। তবে চার্জশিটের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপত্তি নেই চন্দন সরকার পরিবারের।

৮ এপ্রিল বুধবার আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে কলকাতায় গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সদ্য বরখাস্ত কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিউটির মামলার এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে। অভিযুক্তদের মধ্যে নূর হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এদিকে শুনানিতে অভিযুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ৩০ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতপাড়ায় বিউটির সমর্থকরা মানববন্ধন করেন। আসামিদের নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি লক্ষ্য করে জুতাও নিক্ষেপ করা হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।