রুপা হকের বিজয়ে পাবনায় আনন্দের বন্যা

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোভূত ড. রুপা হক। আর এ খবরে বাংলাদেশে তার গ্রামের বাড়ি পাবনায় স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

রুপার দাদা পাবনা সদরের মোকছেদপুর এলাকার মরহুম আজিজুল হক ও নানা শহরের কুঠিপাড়া এলাকার মরহুম মুসা বিশ্বাস। এসব এলাকার মানুষ ব্রিটেনে নির্বাচনে রুপার জয়ের খবর জেনে উচ্ছসিত। সবার প্রত্যাশা ও বিশ্বাস তাদের রুপা ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য কাজ করে যাবেন। গুরুত্ব দেবেন নিজ দেশের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো।

স্থানীয়রা জানান, রুপার পিতা মনছের আলী ও মা দুলালী হক ১৯৭০ সালে চলে যান ব্রিটেনে। সেখানেই ১৯৭২ সালে জন্ম হয় রুপার। কে জানতো সেই রুপাই একদিন হবেন ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নির্বাচনে বিজয়ী। খুশির এ খবর জেনে আনন্দে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন তার স্বজনরা।

কুঠিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুপার বড় মামা আবুল বাছেদ বিশ্বাস ও ছোট মামা সবুজ বিশ্বাস বলেন, আমাদের ভাগ্নি ব্রিটেনের নির্বাচেন জয়ী হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি সে এত বড় অবস্থানে যেতে পারবে। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, পাবনাবাসী তথা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।
রুপার মামী রিজিয়া বিশ্বাস বলেন, খবরটা শুনে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে তাকে কাছে পেলে আনন্দ আরও বেশি হতো। দোয়া করি মেয়েটা যেন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করে। মামাতো ভাই সেলিম বিশ্বাস ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের আনন্দের সীমা নেই। রুপা ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন, নিজ দেশের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো গুরুত্ব দেবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

লন্ডনের অন্যতম আলোচিত ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী রুপা হক ২২ হাজার দুই ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী এঞ্জি ব্রে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭২৮ ভোট। রুপা হক কিংস্টন ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রসঙ্গত : রুপা হক বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ফুপাতো বোন।



মন্তব্য চালু নেই