টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন মুশফিক

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক ড্র করেছিল বাংলাদেশ। খুলনা টেস্টে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে সেটা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এই দুই ওপেনার নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই বলে এমন বাজেভাবে হেরে যাবে বাংলাদেশ।

মিরপুরে যা একটু আশা দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যোগ্য সঙ্গী না পাওয়ায় সাকিবও বেশিদূর এগোতে পারেননি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসও ছিল হতাশাজনক। মুমিনুলের ফিফটিই যা একটু পাওয়ার।

তবে এসব কি আর ৫৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রার জন্য যথেষ্ট? মোটেই না। একই ম্যাচে পাকিস্তান দুই বার ইনিংস ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের জন্য যা লজ্জার বটে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে টাইগাররা। এরপর মুশফিকের কণ্ঠে হতাশা ঝরবে, এটা হয়তো অনেকেই অনুমান করেছিলেন। হলো ঠিক তা-ই। সঙ্গে টেস্টসুলভ দল গঠন না করায় টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন মুশফিকুর রহিম।

ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘পাকিস্তান টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় নম্বর দল। তাদের বিপক্ষে আমাদের ভালো কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যা একটু পরিকল্পনা করেছিলাম, তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আর সে কারণেই হেরে গেছি। আমাদের আরো বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

দলের বোলিং দুর্দশা নিয়ে মুশফিকের ভাষ্য, ‘ঢাকা টেস্টে আমাদের পারফরম্যান্স পুরোটাই হতাশাজনক। আমরা বেশ কয়েকটি ‘নো’ বল করেছি। যার খেসারত দিতে হয়েছে। এ ছাড়া টেস্টের মাঝপথে একজন পেসারকে (শাহাদাত) হারিয়েছি। টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনোটাই আমাদের ঠিক ছিল না।’

এদিকে তামিম-ইমরুল-মুমিনুলের প্রশংসা করে মুশফিক বলেন, সদ্য সমাপ্ত টেস্টে সিরিজটি তামিম ও ইমরুলের জন্য ছিল অসাধারণ। মুমিনুলও পঞ্চাশোর্ধ রান করেছে। তবে বোলিংটা আরো বেশি আগ্রাসী হলে ভালো হতো। পাঁচ দিন খেলতে হবে এই ভেবেই আমাদের বোলিং লাইন-আপ সাজাতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি আপনি টেস্টে জিততে চান, তাহলে ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল গড়তে হবে। আপনাকে ২০ উইকেট নিতে হবে। ভারতের বিপক্ষে আমরা ভালো করতে চাই।’



মন্তব্য চালু নেই