কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
উখিয়ার হাট বাজারে নালা নর্দমার দুর্গন্ধে ক্রেতাদের দূর্ভোগ
মৌসুমের উখিয়ার হাট বাজার নিলামে ইজারা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। উপরুন্ত বাজার সড়ক ও ড্রেনে তরিতরাকরী ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখায় ও নালা নর্দমার দুর্গন্ধে ক্রেতারা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। হাট বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বাজার ইজারাদারের দায়বদ্ধতা থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোনারপাড়া বাজার, মরিচ্যা, কোটবাজার, পাতাবাড়ী, উখিয়া সদর দারোগা বাজার, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী বাজার ইজারা দিয়ে প্রতি মৌসুমে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। হাটবাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বাজার থেকে ইজারাদার কর্তৃক নিয়োগকৃত টোল আদায়কারীরা নির্ধারিত হারের অধিক টোল আদায় করলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য নূন্যতম পরিবেশ রাখেনি।
যার ফলে এ উপজেলার একমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত উখিয়া বাজারের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতি সম্প্রতি এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত বাজার ড্রেনের পঁচা দুর্গন্ধে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ সরকার নির্মিত শেড এখন পাইকারী ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের সড়কের উপর বেচা-কেনা করতে হচ্ছে। গ্রাম থেকে তরকারি বিক্রি করতে আসা ডেইলপাড়া গ্রামের হাছু মিয়া জানান, বাজারে জায়গা না পাওয়ার কারণে সড়কের পাশে বসে তরি-তরকারি বিক্রিত করতে হচ্ছে। এখানে অতিরিক্ত টোল আদায় করলেও দেখার কেউ নেই। পক্ষান্তরে রিক্সা, বটবটি, টম টম ও চাঁদের গাড়ির হেলপার চালকেরা দুর্ব্যবহার করছে।
বাজারের বাসিন্দা পরিমল সেন জানান, নালা নর্দমার দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বাজারের আরেক বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন জানান, বাজার ড্রেনটি সংস্কারের পর আর পরিষ্কার করা হয়নি। পঁচা দুর্গন্ধে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উখিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একরামুল হক বাজারের অস্থিতিশীল পরিবেশের সত্যতা স্বীকার করে বাজার ইজারাদারকে দোষারারূপ করলেন।
উখিয়া বাজারের একজন ক্রেতা হাজী আব্দুল মান্নান জানান, তিনি বাজারের অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্য ইজারাদারকে দায়ী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এভাবে অসংখ্য লোকজন দারোগা বাজারের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করলেও দেখার কেউ নেই। বাজার ইজারাদার মামুন চৌধুরী জানান, বাজার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি অবিলম্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করার আশ্বস্থ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই