ভারতকে ন্যাপের সাধুবাদ

ভারতের রাজ্যসভার পর লোকসভাতেও স্থলসীমান্ত বিল পাস করায় মোদি সরকারসহ কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুরো ভারতবাসীকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শনিবার দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এর ফলে ১৯৭৪ সাল থেকে ঝুলে থাকা ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় ভূমি হস্তান্তর ও অনিষ্পন্ন সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হবে।’

তারা বলেন, ‘দুই দেশের প্রায় ৫২ হাজার ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে ও বঞ্চনার অবসান ঘটবে। একই সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বিরোধ চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন হবে।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘স্থল সীমান্ত বিল আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর ভারতের সংসদে বিলটি পাস হয়েছে। এটা অত্যন্ত সুখের। আমরা এ বিল পাসকে সাধুবাদ জানাই। ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির পর ওই সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন পার হয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে অনেক লোকের দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে। এর মাধ্যমে পরিচয়হীন ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজস্ব পরিচয় পাবে।’

এদিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’-এর বিজয়ী সংসদ সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ন্যাপ নেতৃদ্বয়।

এক অভিনন্দন বার্তায় তারা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্স-এ নির্বাচিত ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি ও স্কটল্যান্ড ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ নির্বাচিত সকল প্রতিনিধিদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলে পরিচিত ব্রিটেনের এ নির্বাচনের মাধ্যমে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বাধীন সরকার নিজ দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

তারা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি নতুন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ এবং অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সহযোগিতামূলক উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও গতিশীল হবে। আশা করি নতুন সরকার বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’



মন্তব্য চালু নেই