কালকিনিতে চক্ষু হাসপাতালের প্রতারনা বাড়ছে অন্ধের সংখ্যা

মাদারীপুরের কালকিনিতে দৃষ্টিকোন চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম ভাবে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। আর তাদের আর্কষনীয় প্রচারে বিশ্বাস করে অপারেশন করে অন্ধত্ব বরন করছে রোগীরা। দিনের পর দিন রোগীদের অভিযোগ প্রকট আকার ধারন করলেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। তাই ব্যাপক দাপটের সাথে হাসপাতাল পরিচালনা করে জমজমাট ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে  কিছু ব্যবসায়ী আর সাধারন রোগীরা হচ্ছে ভোগান্তির শিকার।

অনুসন্ধানে গেলে ভূক্তভোগী রোগীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানান, উপজেলার ভূরঘাটা-কালকিনি সড়কের পাশে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক গর্জিয়াস ভাবে শোভা বর্ধন করে গত বছর দৃষ্টিকোন চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর হাসপাতালের প্রতি রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার আনা হয় বলে প্রচার করা হয়। এতে রোগীরা প্রলোভনে পড়ে চক্ষুরোগ সারাতে এসে অন্ধত্ব বরণ করে ফিরে যাচ্ছে। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও প্রতিদান মিলছে না। অপরদিকে ছানী অপারেশনের সময় লেন্স লাগানোর কথা বলে কনটাক্ট করা হয়। অথচ লেন্স না লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কালকিনি পৌর এলাকার মজিদবাড়ি গ্রামের স্কুল শিক্ষক আঃ মোতালেব সরদার অভিযোগ করে বলেন ‘ দৃষ্টিকোন চক্ষু হাসপাতালের প্রচারপত্রে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ডাঃ রাহাত আনোয়ার চৌধুরী আমার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানমের চক্ষু অপারেশন করে। কিন্তু অপারেশনের পরে ডাক্তারদের ভূল চিকিৎসায় সে এখন অন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে খবর নিয়ে জানতে পারি সেখানে রাহাত আনোয়ার চৌধুরী নামের কোন ডাক্তার নাই। এটি রোগিদের সাথে পরিকল্পিত ভাবে প্রতারনা করা হচ্ছে।’

একই ভাবে অভিযোগ করে গোপালপুর এলাকার পূর্বপূয়ালী গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মজিবুর রহমানের স্ত্রী রেহানা পারভিন বলেন ‘ লেন্স লাগানোর কথাবলে উক্ত হাসপাতালে  সাড়ে দশ হাজার টাকা কন্টাকে আমার মা সামচুন নাহার বেগমের চক্ষু অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পরে  সে চোখে দেখতে না পারায় ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিলে কর্মরত ডাক্তাররা জানায় কোন লেন্স লাগানো হয়নি। একই ভাবে আমার স্কুল পড়–য়া মেয়ে লিনার সাথেও প্রতারনা করা হয়েছে। সেও এখন চোখের যন্ত্রনায় ছটফট করছে। আমরা দৃষ্টিকোন চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরকারী ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।’

এসব অভিযোগ হাসপাতালের পরিচালক নজরুল ইসলাম (শামীম) অস্বীকার করেণ।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ আঃ রকিব বলেন ‘ এসব অভিযোগের ব্যাপারে দতন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



মন্তব্য চালু নেই