টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে মানব পাচারকারীর বন্দুক যুদ্ধ নিহত ৩ ওসিসহ আহত ৪ অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৩ শীর্ষ মানব পাচারকারী নিহত হয়েছে। গত ৮ মে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টায় টেকনাফ মহেষখালীয়া পাড়া সাগর সৈকতের বীচ হ্যাচারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়ার মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মানব পাচারের গডফাদার ধলু হোসেন(৫৫), সাবরাং কাটাবনিয়া এলাকার আব্দুল মাজেদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম(৩০) ও হারিয়াখালী এলাকার কবির আহমদের পুত্র জাফর আলম(৩২)। এসময় টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার, পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন, উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম, কনস্টেবল আব্দুল বারী আহত হন।

Teknaf-pic 08.05.15

টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের একটি টহল টীমের মাধ্যমে শীর্ষ মানব পাচারকারী ধলু হোসেন দলবল নিয়ে অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মানব পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ বীচ পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান করার সংবাদে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় মানব পাচারকারীরা পুলিশের উপর গুলিবর্ষন করলে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষন করে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ৩ মানব পাচারকারীকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এসময় পুলিশ ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ৩রাউন্ড তাজা কার্টুজ ও ১০টি খালি খোসা উদ্ধার করে। নিহতের বিরুদ্ধে থানায় মানব পাচারসহ ১৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানব পচারকারীদের তালিকায় ধলু মাঝি ও জাহাঙ্গীরের নাম ৫ ও ৩০ নম্বরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র থানায় ২টি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের লাশ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই