ভোলা উপজেলা মনপুরায় ১ বছর ধরে এ্যাম্বুলেন্স বিকল :

এতে যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই দুর্ভোগে রোগীরা

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলায় হাসপাতালে রোগীদের আনা- নেওয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ ১ বছর যাবত নষ্ট হয়ে চার আছে। এতে র্দুভোগে পড়েছে দ্বীপের রোগীরা। এ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে পরে থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগীরা টেম্পুতে করে চিকিৎসা নিতে আসছে উপজেলা হাসপাতালে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছে গর্ভপতী মহিলারা। অনেক সময়ে টেম্পুর ঝাঁকুনিতে গর্ভপতী মহিলাদের জীবনের শংকা দেখা দেয়।

তখন হাসপাতালে কোন চিকিৎসা দিতে না পারায় প্রেরণ করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। ফের টেম্পু করে রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চে করে যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালে পৌছাতে দেরী হওয়ায় অনেক সময় মা ও অনাগত সন্তানকে দিতে হয় জীবন।

টেম্পু করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী রহিমার স্বামী কাঞ্চন মাঝি জানান, উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. দূরে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে তার বাড়ি। স্ত্রী রহিমা প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট তাই বাধ্য হয়ে টেম্পুতে নিয়ে এসেছি হাসপাতালে। ডাক্তার বলছে টেম্পুর ঝাঁকুনিতে সমস্যা বেশি হয়েছে তাকে জরুরী ভিক্তিতে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এ্যাম্বুলেন্স থাকলে এই সমস্যা হতো না।

রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটে দেখা মেলে গুরুত্বর অসুস্থ্য রোগী রিয়াজের। জরুরী চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হবে ঢাকায়। উপজেলা হাসপাতাল থেকে টেম্পু করে আনা হয়েছে ঘাটে। রিয়াজের অভিভাবক জানান, টেম্পুর ঝাঁকুনিতে রোগী পথিমধ্যে ব্যাথায় চিৎকার করেছে। এ্যাম্বুলেন্স থাকলে এ সমস্যা হতো না।

মনপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগী মিলি, শাবানা, মরিয়ম, কুদ্দুস সহ অনেকে জানান, এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে টেম্প ও ভেন গাড়ি করে চিকিৎসা নিতে আসে হাসপাতালে। আরো বলেন, এত বড় হাসাপাতে রোগী আনা- নেওয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পরে আছে। এতে যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা গওজ নেওয়াজ জানান, দ্বীপাঞ্চলে রোগী পরিবহনে টেম্পু ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে অনেক সময়ে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ্যাম্বুলেন্সটি ভালো থাকলে রোগীদের উপকার হতো। তাছাড়া এখানকার বরাদ্ধকৃত নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি ছিনতাই করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে গেছে বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।



মন্তব্য চালু নেই