রাজশাহী কমিটি অবৈধ, মামলার প্রস্তুতি
রাজশাহী: রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির নতুন নির্বাহী কমিটিকে অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কমিটি বলে অভিযোগ করেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে ওই কমিটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার নগরীর লক্ষ্মীপুরস্থ জেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় এসবি ফুল প্যালেসে জাতীয় পার্টির সকল অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে নতুন কমিটি অবৈধ দাবি করে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২১ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কমিটি পার্টির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে মাত্র ৯ মাসের মাথায় নতুন ভাবে নির্বাহী কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে তৃণমুল নেতা কর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।
নেতা কর্মীদের অভিযোগ, গত ৬ এপ্রিল জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির বিতর্কিত এক মতবিনিময় সভায় পার্টির চেয়ারম্যান মৌখিক ভাবে আবুল হোসেনকে সভাপতি ঘোষণা দেন। অথচ গত ৪ মে সোমবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খন্দকার হাফিজ ও শাহাবুদ্দিনকে বাদ দিয়ে ১১১ সদসসের নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের খবর প্রকাশ পেলে নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এতে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জেলা জাতীয় পার্টির নেতা ও কর্মীদের মাঝে।
প্রতিবাদ সভায় জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক সরদার জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন জাতীয় পার্টির পার্টিতন্ত্রের ধারা ১০এর ৬ (ঘ) তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে কমিটি কোন কারনে ভেঙে দেয়া হলে বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচিত কমিটি না থাকলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করিয়া কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য চেয়ারম্যান একটি এডহক (অস্থায়ী) কমিটি মনোনয়নের মাধ্যমে গঠন করিবেন।
কিন্তু ১১১ সদসসের নির্বাহী কমিটি দিয়ে গঠনতন্ত্র অমান্য করা হয়েছে দাবি করে সরদার জুয়েল জানান, তৃণমূল নেতারা এই কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই অবস্থার অবসান চেয়ে নেতা কর্মীরা এই অবৈধ কমিটি বাতিল এবং আগের কমিটি বহাল চেয়ে শাহাবুদ্দিন বাচ্চুর নেতৃত্বে পার্টিকে সুসংগঠিত করে জাতীয় পার্টিকে রাজশাহী জেলায় ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান।
প্রতিবাদ সভায় রাজশাহী জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাপার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাইনুল ইসলাম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হোক মিথু, জেলা যুব বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন ডালিম, জেলা ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা ছাত্র নেতা ফাইসাল আহমেদ ইমন, মহিলা পার্টির সম্পাদক নাসিমা বেগম, মহনপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানেসা বেগম, জেলা মৎস্যজীবী পার্টির আহ্বায়ক মেরাজ উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির আহ্বায়ক নুর-ই-আলম সিদ্দিকি শিল্পী, জেলা শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব আব্বাস আলী, জেলা মোটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, জেলা সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব রাসেদুজ্জামান রাসেল, জেলা হকার্স পার্টির আহ্বায়ক, দুলাল হোসেন, জেলা ওলামা পার্টির আহ্বায়ক হাফেজ শরিউল ইসলাম, জেলা কৃষক পার্টির সদস্য সচিব ডা. ফজলুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই