গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলা : সালমানের সারাদিন

গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত সালমান খান। পরে হাইকোর্ট থেকে মিলল ২ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন। সকাল থেকে কীভাবে এগোল ঘটনাক্রম? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।

১৩ বছর আগের, গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত সলমন খান। মঙ্গলবার থেকেই এই মামলার ক্লাইম্যাক্সের দিকে নজর ঘুরে গিয়েছিল গোটা দেশের। সন্ধের পর থেকেই একে একে সালমানের বাড়িতে যান তাঁর বন্ধুরা। রাতের দিকে সলমনের সঙ্গে দেখা করতে যান শাহরুখ খানও।

বুধবার সকাল থেকেই সলমনের বাড়ির সামনে জমতে শুরু করে ভক্তদের ভিড়।

সকাল ৯.৪৫

গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরোন সালমান খান। পরনে সাদা শার্ট। মুখে কয়েকদিনের না কামানো দাড়ি। বেরনোর আগে সালমানকে জড়িয়ে ধরেন তাঁর মা ও বাবা।

সকাল ৯.৫৬

মুম্বই দায়রা আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সলমন। গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান সেই অশোক সিংহই, যিনি দুর্ঘটনার দিনও গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে সালমান দাবি করেছিলেন।

সকাল ১০.৩০

মুম্বই দায়রা আদালতে পৌঁছয় সালমানের গাড়ি। সলমনের সঙ্গে যান ভাই আরবাজ ও সোহেল খান, বোন অর্পিতা, আলভিরা। আদালতের বাইরে তখন থিকথিকে ভিড়।

সকাল ১০.৪০

গাড়ি থেকে নেমে আদালতে ঢুকে যান সলমন খান।

সকাল ১১.১০

আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু। কাঠগড়ায় ওঠেন সালমান।

সকাল ১১.১২

সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক ডি ডব্লু দেশপাণ্ডে। তখনও বাকি সাজা ঘোষণা। এর মধ্যেই আদালত থেকে বেরিয়ে যান ভাই সোহেল। বিচারক জানান ১টা ১০ মিনিটে তিনি সাজা ঘোষণা করবেন। কিন্তু, ঠিক সেই সময়ই আদালতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কিছুক্ষণ দেরি হয়।

দুপুর ১.২৫

সালমান খানকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক। রায় শুনে আদালতকক্ষে চোখ ছলছল করে ওঠে দবং খানের। আদালতের রায় শুনে বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান সালমানের মা।

বিকেল ৪

বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে, বম্বে হাইকোর্টে সালমানের জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী।

বিকেল ৪.৫০

সালমানের দু’দিনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। ফলে আপাতত তাঁকে জেলে যেতে হচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই