ভেঙে পড়েছেন সালমান অনুরাগীরা

গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর মামলায় সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন মুম্বই দায়রা আদালতের বিচারপতি। এ সাজায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন সালমান অনুরাগীরা।

৪৯ বছর বয়সী এই বলিউড তারকার পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। শুধু বলিউড-ই নয়, দুঃখপ্রকাশ করেছেন টলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রীরাও।
সালমানের খুব কাছের বন্ধু গীতিকার ওয়াজিদ আলি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ভীষণই দুঃখজনক মুহূর্ত। সালমান প্রকৃতই একজন ভালো মানুষ। তবে এ সাজাও স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেবেন তিনি।

সাজা ঘোষণার আগে সালমানের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী বলেছিলেন, তিনি প্রার্থনা করছেন, সালমানের যেন খুব কঠিন সাজা ঘোষণা না হয়। তিনি সালমান ও তার পরিবারে প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সালমানের এ সাজায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতা শক্তি কাপূর। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যদিও আইন আইনের পথেই হাঁটবে। সালমান বহু মানুষকে সাহাষ্য করেছেন। তাকে একজন প্রকৃত মানবপ্রেমিক বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে রায় ঘোষণার পরই সালমানের বাড়িতে পৌঁছেন অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানি, সোনাক্ষী সিংহ, প্রীতি জিন্টা।

রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে যান বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব। শাহরুখ রাত ১টার দিকে তার বান্দ্রার বাড়িতে আসেন। প্রায় ১ ঘণ্টা কথা বলেন সালমানসহ পরিবারের সঙ্গে।

এসেছিলেন ডেভিড ধাওয়ান, সঙ্গীতা বিজলানি. সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রমুখ। সালমানের বোন অর্পিতাও গিয়েছিলেন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে। রাত থেকেই সালমানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে ফ্যানেদের ভিড় ছিল। সবারই প্রার্থনা আদালতের রায়ে রেহাই পাক সালমান।

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মুম্বাইয়ের একটি বেকারির সামনে কয়েকজন ফুটপাতবাসীকে চাপা দেয় সালমান খানের গাড়ি। মারা যায় একজন। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটান সালমান। যদিও সম্প্রতি আদালতে সালমান দাবি করেছিলেন, সেই রাতে তিনি মদ পান করেননি এবং দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার চালক অশোক।



মন্তব্য চালু নেই