আদালতের রায় শুনে কাঁদলেন সালমান

মুম্বাইয়ের একটি বেকারির সামনে ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে কয়েকজন ফুটপাতবাসীকে পিষে দেয় সালমান খানের গাড়ি। এসময় মৃত্যু হয় একজনের। সেই অভিযোগের মামলায় ১৩ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হলেন বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা সালমান খান।

তবে এখনও শাস্তি ঘোষণা হয়নি সালমানের। ধারনা করা হচ্ছে কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হতে পারে এই নায়কের।

এবিপি আনন্দের খবরে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের আদালতে বিচারক যখন দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন তখন রায় শুনে কেঁদে ফেলেন সালমান খান।

রায় পড়তে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‌‌এই মামলায় দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সালমানের। এবিষয়ে বিচারপতি সালমানের মতামত জানতে চান। সালমান উত্তরে কিছু বলেননি। তিনি ইশারায় নিজের আইনজীবীকে দেখিয়ে দেন।

এর আগে বুধবার সকালে আদালত চত্বরে পৌঁছান সালমান খান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা সেলিম খান, দাদা আরবাজ খান এবং বোন অর্পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

যদিও আদালতে তার গাড়ির চালক অশোক সিংহ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ওই রাতে সালমান নন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন অশোক নিজে। অনেকের ধারণা ছিল, চালকের এই সাক্ষ্য মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু, বিচারক এ দিন সরাসরি জানিয়ে দেন, ঘটনার দিন সালমানই মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এবং তার কাছে বৈধ কোনো লাইসেন্স ছিল না। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত।

পরে এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যার মামলা রুজু হয় তার বিরুদ্ধে।



মন্তব্য চালু নেই