মহাসাগরে ভাসমান মসজিদ !

মহাসাগরে ভাসমান মসজিদটি মরক্কোসহ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটির অভ্যন্তরে ২৫ হাজারসহ একসাথে লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা। বৃষ্টির সময় ছাড়া প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে মসজিদটির ছাদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায় তিন মিনিট পরপর।

২২ দশমিক ২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সাথেই আছে লাইব্রেরি, কুরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা ও কনফারেন্স রুম। আড়াই হাজার পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। মসজিদ এলাকার আশপাশ সাজানো হয়েছে ১২৪টি ঝরনা ও ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি দিয়ে। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও এসব মোড়ানো হয়েছে স্বর্ণের পাত দিয়ে।

মসজিদটির মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মেহরাবের উচ্চতা দুইতলা ভবনের সমান। আর মিনারের উচ্চতা ২১০ মিটার বা ৬৮৯ ফুট। ৬০ তলা ভবনের সমান এই মিনারের ওপরে রয়েছে লেজার রশ্মি, যা নাবিকদের দেখিয়ে দেয় পবিত্র কাবাশরিফের পথ।দূর থেকে মনে হবে পানির ওপর ভাসছে মসজিদটি। মুসল্লিরা নামাজ পড়ছেন পানির ওপর। ঢেউয়ের তালে তালে দোল খাচ্ছে মসজিদটি। সাথে মুসুল্লিরাও দুলছেন। এমনই একটি মসজিদ আছে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায়। নাম দ্বিতীয় হাসান মসজিদ বা গ্র্যান্ড মস্ক হাসান-২।

মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান মসজিদটি তৈরি করেছেন। নির্মাণ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর নকশা করেছেন ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। একে ভাসমান মসজিদ বলার কারণ হচ্ছে- মসজিদটির তিন ভাগের এক ভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।

৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা যায় এই লেজার রশ্মি। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার এটি।
১০ মিটার বা ৩৩ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক ঢেউ ভেঙে দেয়ার ব্যবস্থা আছে মসজিটিতে। সমুদ্রের কোনো গর্জন শোনা যাবে না মসজিদটির ভেতর থেকে। মসজিদ এলাকার বাগানে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বনভোজনেরও।



মন্তব্য চালু নেই