পরকীয়া করার জন্য মানুষ যে ৭টি জঘন্য কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন

নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় আরেকটি অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়াটাই আমরা পরকীয়া হিসাবে জানি। তবে এটা অনেকেই জানি না যে বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য মানুষ এই পরকীয়ার ব্যাধিতে আসক্ত। শুধু তাই নয়, অনেকে একাধিক পরকীয়াও একত্রে চালিয়ে যান। আর এই পরকীয়া করার জন্য ও বিপরীত লিঙ্গের মন ভোলাতে মানুষ আশ্রয় নিয়ে থাকেন জঘন্য কিছু কৌশলের। চলুন, চিনে নিই পরকীয়া করার আগ্রহে যেসব জঘন্য বাজে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।

নিজের স্বামী/স্ত্রীকে সবার সামনে খারাপ প্রমাণ করা

নিজের জীবনসঙ্গী ভালো হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নামে বদনাম করা, কুৎসা রটানো, সকলের সামনে নানাভাবে তাঁকে হেয় করা পরকীয়া করার অন্যতম কৌশল। পছন্দের পাত্র/পাত্রীর কাছে নিজের জীবনসঙ্গীকে খারাপ প্রমাণ করে সহানুভূতি কুড়ানোটাই মূল কৌশল।

সংসারে অশান্তির শিকার, এমনটা দেখানো

সংসারে অশান্তি না থাকলেও এমনটা ভাব করা যে সংসারে খুব অশান্তি এবং কোন দোষ না করেই তিনি এই অশান্তির শিকার। এমনটা করে যা হয়, সেটা হলো খুব সহজে নিজেকে নিঃসঙ্গ ও ভালো মানুষ প্রমাণ করা যায়।

নিজেকে “সিঙ্গেল” পরিচয় দেয়া

জীবনসঙ্গীর চোখের আড়ালে সুযোগ বুঝে নিজেকে সিঙ্গেল পরিচয় দিয়েও পরকীয়া করেন অনেক মানুষ। এতে প্রেম করাটা সহজ হয়। একই সাথে জীবন সঙ্গী ও পরকীয়ার সঙ্গী, দুজনকেই ধোঁকা দেন এরা।

নিজের সম্পর্কে মিথ্যা কাহিনী তৈরি

নিজের অর্থ বিত্ত সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে এমন সব মিথ্যা কাহিনী তৈরি করেন যেন বিপরীত লিঙ্গ খুব আকর্ষণ বোধ করে আর তিনি অন্য কারো জীবন সঙ্গী এটা জানা সত্ত্বেও প্রেমে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

অর্থের জোরে সম্পর্ক কেনা

টাকা দিয়ে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করাও খুব কমন। এক্ষেত্রে পরকিয়াতা মানসিক সম্পর্কের চাইতে শারীরিকই হয় বেশী।

এমন সম্পর্কে জড়ানো যা খুবই লজ্জাজনক

পরকীয়া এমনিতেই অনৈতিক, কিন্তু পরকীয়ার তাগিদে মানুষ এর চাইতেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। যেমন কাজের মেয়ে বা ড্রাইভারের সাথে প্রেম বা এমন কোন আত্মীয়ের সাথে প্রেম যার সাথে সমাজ প্রেমকে স্বীকৃতি দেয় না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনৈতিক কার্যকলাপ

ফেসবুকে বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার হরেক রকমের বন্ধু তৈরি, তাঁদের সাথে নানা রকমের মিথ্যাচার ও সম্পর্ক তৈরি, নিজেকে সিঙ্গেল দাবী করা ইত্যাদি আজকাল অহরহ হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক পরকীয়া করাকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। তালিকায় ফোনও আছে।

সূত্র
সাইকোলজি টুডে, এলিট ডেইলিতে প্রকাশিত একাধিক পোষ্ট হতে অনুপ্রাণিত



মন্তব্য চালু নেই