৬ জন অধিনায়কে পিছনে পেলে মুশফিকের নতুন রেকর্ড !

পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম নিজের ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছেন। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক পদ থেকে মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে দায়িত্বে রাখা হয়েছে শুধু টেস্ট দলের। এরই মধ্যে ২০টি টেস্টে নিজেকে সফল অধিনায়ক হিসেবেও প্রমাণ করেছেন। মুশফিকের আগে আরও ৬ জন অধিনায়ক টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কেউ ২০টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে পারেনি। হাবিবুল বাশার সুমন ১৮টি, আশরাফুল ১৩টি, খালেদ মাহমুদ ১২টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। পূর্বের ৬ জন টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়কে পিছনে পেলে মুশফিকের নতুন রেকর্ড। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ২১তম টেস্টে নেতৃত্ব দিতে নামবেন মুশফিক।

এরই মধ্যে ২০ (২০১১-২০১৫) টেস্টে ৪টি জয় ও ৬টি ড্র’র সাফল্য অর্জন করেছেন যা আগের কোন অধিনায়কই পারেননি। শুধু হাবিবুল বাশার সুমন ১টি জয় ও ৪টি ড্র’র কৃতিত্ব পেয়েছেন। দেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ডবল সেঞ্চুরিটিও আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তার এই সফলতার পিছনে পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ই মূল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঠে সবার আগেই তিনি উপস্থিত হন। একা একাই সর্বক্ষণ ব্যাট হাতে অনুশীলন সেরে নেন। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলের অনুশীলন ছিল না গতকাল। কিন্তু তারপরও জুবায়ের হোসেন লিখনকে নিয়ে হাজির হন মাঠে।

এরই আগে অবশ্য পাকিস্তান দল অনুশীলন সেরে গেছে। মুশফিক ঘণ্টা ধরে ব্যাটিং অনুশীলন শেষে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহেকে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে উইকেট পরখ করেন। অধিনায়ক ও কোচ অনেকক্ষণ আলাপ-আলোচনাও সেরে নেন। কেমন হবে দল? তা বিবেচনা করতেই উইকেট নিয়ে মুশফিক যেন রীতিমতো অনুশীলন করেন মাঠে। সোমবার টিম হোটেলে যখন সবাই বিশ্রামে ব্যস্ত তখন মুশফিক মাঠে আসেন দুপুর ১২টার পর। প্রথমে অনুশীলন করেন ব্যাট হাতে।

এরই মধ্যে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় তার গড়া দেশের হয়ে প্রথম ডবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গেছে তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অকপটেই রেকর্ড ভেঙ্গে যাওয়াতে একটু মন খারাপের কথাও বলেন। ঠিক পরক্ষণেই তামিম ইকবালও আশা প্রকাশ করেন যদি এই রেকর্ড কেউ খুব দ্রুত ভাঙ্গতে পারে তাহলে সে অন্য কেউ নয় তা এক মাত্র মুশফিকের পক্ষেই সম্ভব। তামিম বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি আমার এই রেকর্ড কেউ না কেউ ভাঙ্গবে। কিন্তু সেটি আমার বিশ্বাস মুশফিকই খুব দ্রুত করতে পারে।

এ পর্যন্ত ৪৪টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিকুর রহীম। ৮৩ ইনিংসে ৩৩.০২ গড়ে করেছেন ২৫৪৩ রান। এর মধ্যে সেঞ্চুরি মাত্র ৩টি হলেও ফিফটি ১৪টি।



মন্তব্য চালু নেই