ভারতের যে চার স্থানে পতিতাবৃত্তিই আয়ের প্রধান উৎস

পতিতাবৃত্তিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন পেশা। সমাজ কিংবা সংস্কৃতি যে কারণেই হোক বিশ্বের অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে পতিতাবৃত্তিই আয়ের মূল উৎস। এ অবস্থা থেকে পিছিয়ে নেই ভারতও। ভারতের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে পতিতাবৃত্তিই আয়ের প্রধান উৎস।

নাতপুরা, উত্তরপ্রদেশ
ভারতের উত্তর প্রদেশের নাতপুরা গ্রামের পাঁচ হাজার বাসিন্দার আয়ের মূল উৎস ‘পতিতাবৃত্তি’। গত চারশো বছর যাবত পরম্পরাগতভাবে পতিতাবৃত্তিকেই বেছে নিচ্ছেন তারা। মায়ের সাথে বসবাস করা এ গ্রামের শিশুরা জানে না তাদের বাবা কে?

দেবদাসিস, কর্নাটক
ভারতের কর্নাটকের দেবদাসিসের মেয়েদেরকে দেবীর সাথে বিয়ে দেওয়া হয় এবং এরপর তাদের কুমারিত্বকে নিলামে তোলা হয়। এরপর থেকে সারা জীবন তাদেরকে পতিতা হয়েই কাটাতে হয়। এদেরও আয়ের মূল উৎস এই পতিতাবৃত্তি।

ওয়াদিয়া, গুজরাট
পরিবারকে চালানোর জন্য এ গ্রামের নারীরা পতিতাবৃত্তি করে। পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত নারীদের দালাল হিসেবে কাজ করে এ গ্রামের পুরুষরা। এ গ্রামের লোকদেরও আয়ের প্রধান উৎস পতিতাবৃত্তি।

বাছারা উপজাতি, মালদহ প্রদেশ
মালদহ প্রদেশের বাছারা উপজাতির পরিবারের বড় মেয়েকে পতিতা হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করতে হয় তাদের। এখানকার মেয়েরা কখনোই পতিতাবৃত্তি থেকে মুক্ত হতে পারে না। কেউ যদি এরকম করে তবে তাকে একঘরে করে দেয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই