পিন্টুর মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী যা বললেন

সাবেক ছাত্রদল সভাপতি, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা লালবাগের নিজ বাসায় রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘পিন্টুর চিকিৎসায় অবহেলা করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে নেওয়া হয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেওয়া। আমরা আদালতের ওই নির্দেশনার কাগজ আইজি প্রিজনের কাছে দিলেও তাকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয় পিন্টুকে। তাৎক্ষণিক ইসিজি করা হলে তার হৃদস্পন্দন পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

তিনি দাবি করেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগেই পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।’

তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘পিন্টুর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ’ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে কেউ কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে তা হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পিন্টু হার্ট এ্র্যাটাকে মারা গেছে। তাকে কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পিন্টুকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে পিলখানা হত্যা মামলাসহ দুর্নীতি ও ভাংচুরের সাতটি মামলা রয়েছে।

পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসি, পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই