কিস্তি শোধ না করায় দিনমজুরের বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে এনজিও (ভিডিও)
গত ২ ফেব্রুয়ারি ক্ষুদ্র ঋণদাতা বেসরকারি সংস্থা আশার একটি শাখা থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার কাচারিকান্দি গ্রামের আলী খার স্ত্রী নাছিমা বেগম। প্রথম চারটির পর আর কিস্তি দিতে না পারায় আশার স্থানীয় কর্মকর্তারা জোর করে তার ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে তার ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়। বসতঘর ভেঙে নেওয়ায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েসহ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অসহায় এ পরিবার।
ঋণের পুরো ১৫ হাজার টাকায় ঘর বিক্রি করলেও চার কিস্তির টাকাও তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়নি।
কিস্তি দিতে না পারায় এনজিওর কর্মকর্তারা ওই পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপপ্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। আশার কর্মকর্তারা বলছেন, কিস্তি দিতে না পেরে ওই পরিবারই ঘর বিক্রি করেছে। আর ক্রেতা ঠিক করে দিয়েছেন তারা।
নাছিমার মেয়ে লিমা স্থানীয় এনায়েতনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিস্তির টাকা পেতে বিভিন্ন সময়ে এনজিওটির কর্মকর্তারা লিমার স্কুলে গিয়েও নানা ‘মানহানিকর’ মন্তব্য করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লিমা বলেন, মায়ের ঋণের কারণে এনজিওকর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার স্কুলে গিয়ে অন্য ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বসে সম্মানহানিকর কথা বলে। আর সন্ধ্যার পরে আমাদের ঘরে এসে বসে থাকে।
ঋণগ্রস্ত নাছিমা বেগম বলেন, কিস্তির টাকা দিতে না পারায় এনজিওর একজন লোক এসে বলে তোমাদের থাকার ঘর ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘর ভেঙে নেয়। এখন কোথায় গিয়ে থাকব তা জানি না। ঋণের পুরো ১৫ হাজার টাকায় বাড়ি বিক্রির কথা জানালেও এনজিওটি নাছিমার দেওয়া চারটি কিস্তির টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ করেন এই নারী।
মন্তব্য চালু নেই