যিনি দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন

‘হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রাতের এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে আগমন করে তাঁর বান্দাদের ডেকে ডেকে বলতে থাকেন, কে আমাকে ডাকছ? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার নিকট প্রার্থনা করছো? আমি তার প্রার্থনা পূরণ করব। আমার নিকট কে ক্ষমা চাচ্ছ? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। (বুখারী, মুসলিম)

একদিন হযরত উমর (রা.) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলনে। হঠাৎ কি মনে করে মাটি থেকে একটি তৃণ খন্ড উঠালেন আর আক্ষেপ করে বলতে লাগলেন, আফসোস! আমি যদি এই তৃণ খ-টির মত নগণ্য হতাম! হায়, আমি যদি জন্মই না নিতাম! আমার মা যদি আমাকে প্রসবই না করতেন।

অন্য এক সময় বলছিলেন, যদি আকাশ থেকে উচ্চারিত হয় যে, এক ব্যক্তি ছাড়া দুনিয়ার সব লোকের গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে, তবুও আমার ভয় দূর হবে না। আমি মনে করব, বোধ হয় সেই হতভাগ্য মানুষটি আমি।

এই ছিল হযরত উমর (রা.)-এর ভাবনা। যিনি দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। আর আমরা কত বেপরোয়াভাবে জীবন যাপন করছি, কত নিশ্চিন্তভাবেই না দিন পার করছি। হে আল্লাহ্! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন।

হযরত হারেছা ইবনে নোমান (রা.) ছিলেন দুনিয়াতে জীবিত থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত একজন বিশিষ্ট আনসারী সাহাবী। শেষ বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই ঘরের দরজা থেকে মসজিদ পর্যন্ত একটা রশি বেঁধে রাখেন, যার সাহায্যে মসজিদে যাতায়াত করতেন।

কোন গরিব-মিসকিন এলে তিনি তার থলে থেকে কিছু বের করতেন। তারপর রশি ধরে ধরে গিয়ে তার হাতে দিয়ে আসতেন। পরিবারের লোকজন বলতো, এ কাজ তো আমরাই করতে পারি, আপনি কেন এত কষ্ট করেন।

তিনি বলতেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মিসকিনকে হাত বাড়িয়ে কোন কিছু দান করা খারাপ মৃত্যু থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
(তাবারানী, ৩/২৫৮)

হযরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর শাসনামলে তাঁর মৃত্যু হয়।



মন্তব্য চালু নেই